কাইছারুল ইসলাম, মহেশখালী
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার অন্যতম আলোচিত ইউনিয়ন ধলঘাটা। এখানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হলেও ভাগ্য বদলায় নি সাধারণ মানুষের। দীর্ঘ একযুগে একাধিক চেয়ারম্যানের রদবদল হলেও সড়কের ভোগান্তি কমেনি একটুও।যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
ধলঘাটা প্রবেশ করতেই রাস্তার বেহাল দশা। চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন গুলো। প্রান্তিক ইউনিয়ন ঘলঘাটার অবস্থা এমনটাই। ধলঘাটার প্রবেশ পথ নাছির মোহাম্মদ ডেইল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তায় কোন ইট সলিং নেই। এরপরে ইট দেখা গেলেও কবে সংস্কার হয়েছে তা কেউ জানে না। ছোট বড় খানাখন্দে ভরা সড়কটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধলঘাটার এই প্রধান সড়কটি খানা-খন্দে ভরা। বিশেষ করে নাছির মোহাম্মদ ডেইল, উত্তর মহুরীঘোনা, দক্ষিণ মহুরী ঘোনা, পানির ছড়া, বনজামিরা ঘোনা, শরইতলা এলাকায় কোন ইট সলিং হয় নাই। দক্ষিণ সুতুরিয়া, সুতুরিয়া বাজার, সাপমারার ডেইল ইট সলিং হলে ও খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে জেলা বা চট্টগ্রামে যোগাযোগ করতে নিত্যদিন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। এমন অবস্থা হলেও রাস্তা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেননি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লক্কর-ঝক্করের কারণে যানবাহন আসতে চাই না রাস্তাগুলো দিয়ে। ২৫ বছরে রাস্তায় ইট সলিং না হওয়াই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। বর্ষাকালে প্রধান সড়কটি নদী-নালায় পরিণত হয়েছে। এই রাস্তাগুলো কখনো পাকাকরণ হয় নাই। আমরা সাহায্য চাই না, রাস্তা পাকাকরণ চাই। এ অবস্থায় রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সিএনজি চালক শফিউল আলম বলেন, ভাঙ্গা রাস্তার কারণে গাড়ি প্রায় বিকল হয়ে পড়ছে। বড় বড় গর্তে গাড়ি পড়ে আটকে যায়। যার ফলে যাত্রী নিয়ে চলাচলে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। স্বীকার হতে হয় বিভিন্ন দূর্ঘটনার। দৈনিক যত আয় হয়,গাড়ী সংস্কারে এর দ্বিগুণ ব্যয় হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ইসহাক জানান, বর্ষাকালে আমাদের অবস্থা খুব শোচনীয় হয়। কাঁদা মাটির কারণে গাড়ি আসতে চাইনা,এমনকি আমাদের হাটতেও সমস্যা হয়ে যায়,যাতায়াত করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাস্তা লক্কর-ঝক্করের কারণে আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে বিভিন্ন সমস্যা হয়।অনেকসময় বর্ষাকালে সড়ক ডুবে যাওয়ায় নৌকা নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়।যার কারণে আমাদের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। আমরা সড়কটি সংস্কারের দাবি জানায়।
ধলঘাটা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান,দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার পর রাস্তাটির টেন্ডার অনুমোদন হয়েছে।কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে মহেশখালী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান, ধলঘাটার প্রধান সড়কের জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।অতিশীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply