নেত্রকোনার সেই ইউএনও চন্দনাইশে
খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় আসা নেত্রকোনার কেন্দুয়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগমকে এবার চন্দনাইশে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের এ উপজেলায় পদায়ন করা হয়। পদায়নের জন্য তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ন্যস্ত ছিলেন।
এরআগে গত বছরের ২২ আগস্ট একদিনের মাথায় কেন্দুয়ার পাশের উপজেলা মদন উপজেলা থেকে ইউএনও পদায়নের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ন্যস্ত করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
স্থানীয়দের বরাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল গ্রামে ১ একর ৮৭ শতক জমির মধ্যে খেলার মাঠের ৪৬ শতক জায়গা কান্দা শ্রেণিতে পরিবর্তন করে সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে মাহমুদা বেগম আলোচনায় আসেন। মাঠ রক্ষায় এলাকাবাসীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় আট বাসিন্দা বাদী হয়ে গত ৩০ মে আদালতে একটি মামলা করেন।
গত ২ জুন রাতের আঁধারে নির্মাণাধীন দুটি ঘরের গাঁথুনি ভেঙে দেওয়া হয়। পরের দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বাদী হয়ে ১৯ জনের নামে মামলা করেন। এরপর পুলিশ পাহারায় ঘরের নির্মাণকাজ চলে। স্থানীয় লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২৩টি ঘরের মধ্যে ১১টি সরিয়ে নেন। মাঠের পশ্চিম পাশ দখলমুক্ত করে ২৪ শতক জায়গায় ১২টি ঘর বানানো হয়। ১৩ আগস্ট ভোরে সেখানকার দুটি ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেন।
ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও মাহমুদা বেগম আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাসহ কয়েকজনকে দোষারোপ করেন। এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে তিনি এসব জেনেছেন বলে উল্লেখ করেন। সরকারি দল, বিরোধী দল—সবাই মিলে ষড়যন্ত্র করেছে বলে দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নের সবার বিরুদ্ধে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর বক্তব্যের ভিডিও দৈনিক সংবাদ ও ডেইলি অবজারভারের উপজেলা প্রতিনিধি হুমায়ূন কবীর নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরে ইউএনও ওই সাংবাদিককে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। এরপর জেলা প্রশাসক তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ১৯ আগস্ট বলাইশিমুল ঈদগাহে ইউনিয়নের ২৮ গ্রামের বাসিন্দাদের বৈঠকে ইউএনও মাহমুদা বেগমকে বলাইশিমুল ইউনিয়নে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে অপসারণের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
- উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর কোন আক্রমণ চালালে আমি দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেব ঘোষণা দিয়েছেন: তৌহিদুল হক চৌধুরী
- চন্দনাইশে “প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী” সম্পন্ন
- কালুরঘাটে ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- চট্টগ্রামে ইটভাটা পরিচালনায় কড়া নির্দেশনা জেলা প্রশাসকের
- চট্টগ্রামে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত
- ফুটপাত-সড়ক দখলকারী ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা বন্ধে অভিযানে নামছে চসিক
- বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলা কমিটির রামনবমী উদযাপন
- চট্টগ্রামে বজ্রসহ বৃষ্টি, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার আভাস
- ‘গভীর ষড়যন্ত্র চলছে’
- চট্টগ্রামে চিকিৎসকদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আল্টিমেটাম
Leave a Reply