আজ ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওমর ফারুক ও তার ছেলের উপর সন্ত্রাসীর অতর্কিত হামলা


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বান্দরবানের লামায় সাধারণ গাছ ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক পক্ষের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে চার ঘন্টার ব্যবধানে আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওমর ফারুক (বেচু)।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল তিন টায় সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন,”লামা জোত মালিক কর্তৃক অবাধ কাঠ ব্যবসা চালু রাখার জন্য মোঃ ওমর ফারুক ও তাহার ছেলেকে হত্যা করে তাদের অবৈধ চোরাই গাছ কাট ব্যবসা চালু করার জন্য বিগত ২৬ আগস্ট ২০২৪ ইং জোত মালিক সমিতির অফিসে গভীর রাতে মিটিং করে ওমর ফারুকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে ষড়যন্ত্র করে। এরপর

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ টিটিএন্ডডিসির কাঠ ব্যবসায়ীর কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসীরা বাহিনী আনুমানিক বিকাল ৩.৩০ ঘটিকার সময় কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট এর সামনে ওমর ফারুককে প্রাণ নাশের উদ্দ্যেশে মারধর করে,সন্ত্রাসী কায়দায় ওমর ফারুক কে মেরে ফেলার জন্য তুলে নিয়ে লামা উপজেলা পরিষদের সম্মুখে প্রধান সড়কে আসলে, এলাকার স্থানীয় জনগণ ঘটনাস্থল থেকে ওমর ফারুককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে,লামা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু সন্ত্রাসী বাহিনী ওমর ফারুককে মেরে ক্ষান্ত হয়নি,একই সন্ত্রাসী বাহিনী কিছুক্ষণ পরে লামা কলা বাজারে ওমর ফারুকের ছেলেকে একই কায়দা মারধর করে, রাস্তায় ফেলে চলে যায় জোত মালিক সমিতির সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকার স্থানীয় জনগণ রক্তাক্ত অবস্থায় ওমর ফারুকের ছেলেকে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করে, উক্ত হসপিটালে দীর্ঘ সাত থেকে আট দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর মোটামুটি সুস্থ হলে, হসপিটাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য পুলিশ কেস স্লিপ নিয়ে, লামা থানায় অভিযোগ করতে গেলে,অফিসার ইনচার্জ ওসি অভিযোগ না নিয়ে তাকে বলেন উপরের টেলিফোনের কারণে অভিযোগ নেওয়া যাচ্ছে না, এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মুঠোফোনে লামা থানার ওসিকে টেলিফোন করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন অভিযোগ নেওয়া হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করা যায়নি। আসামি কেন গ্রেপ্তার হয়নি এ বিষয়ে ওসির কাছ থেকে জানতে চাইলে আর কোন উত্তর পাওয়া যায়নি, প্রশ্ন উপরের টেলিফোন টা কি বুঝা গেল না। আইনের রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে যায় তাহলে সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে প্রশ্ন থেকে গেল, এখনো স্বৈরাচার দেশে আছে বলে মনে হচ্ছে। লামা জোত মালিকের ব্যবসা যদি বৈধ হয় তাহলে লামা বন বিভাগ কেন তাদের ব্যবসা হস্তক্ষেপ করবে। তারা বিগত ১৫/১৬ বছর ধরে লামা ফরেস্ট অফিসকে সৈরাচারী শেখ হাসিনার মনোভাব নিয়ে লুটপাট ও অবৈধ ব্যবসা করত লামা জোত মালিক সমিতি। এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে চোরাই ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন গোপন তথ্য ফরেস্ট অফিসকে প্রকাশ করার কারণে আজকে ওমর ফারুক ও তার পরিবার সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে।

ওমর ফারুক ও তাহার ছেলেকে হত্যা করার জন্য সন্ত্রাসীদের মধ্যে নেতৃত্ব দেন কিশোর গ্যাং লিডার সন্ত্রাসী (হারুন,সেলিম,খোকন,বাবুল,শামসু, ফতেহ আলী সহ অজ্ঞাত সমিতির অন্যান্য সন্ত্রাসী সদস্যরা। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, অদ্য ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং বেলা ১১.০০ ঘটিকায় লামা প্রেস ক্লাব হলরুমে লামা জোত মালিক সমিতি কর্তৃক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে লামা উপজেলার সাধারণ গাছ ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সরকারি রিজার্ভের গাছ খেকো, অসখ্য বন মামলার আসামী,অবৈধ গরু ব্যবসায়ী,সেনাবাহিনী-বন বিভাগের নামধারী কথিত সোর্স ও চাঁদাবাজ, আখ্যায়িত করায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায়, উক্ত স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী সুশীল সমাজ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবং সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ওমর ফারুক বেসু, বক্তব্যে তিনি বলেন, ছেলে সন্তান পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে, সন্ত্রাসী বাহিনী তাদেরকে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে, তিনি পরিবার নিয়ে বাঁচার আকুতি মিনতি জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে তার জীবনের নিরাপত্তা ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আকুতি জানিয়েছেন । এসময় এলাকাবাসী, স্বজনরা,শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর