আজ ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর বাকশিস এর স্মারকলিপি পেশ


একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা ২০২৪ অনুযায়ী বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের শিক্ষক কোটায় সিলেকশন প্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীদের ভর্তি আগামী দুই দিনের মধ্যে নিশ্চিত করার জন্য চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি -বাকশিস নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি -বাকশিস চট্টগ্রাম জেলা শাখা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ আজ সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে এই দাবি জানান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ভর্তির দিন অর্থাৎ ১৫ জুলাই বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের সন্তানদের ভর্তি বাতিল ও ভর্তিতে বাধা দেয়ার জন্য সরকারি বেসরকারি বৈষম্য সৃষ্টিকারী নির্দেশনা সম্বলিত বাংলাদেশ আন্ত: শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের জরুরি বিজ্ঞপ্তি আগামী ২ দিনের মধ্যে অকার্যকর ঘোষণা করে ভর্তি নীতিমালার ৩.২ ঊছ-২ কোটার ‘ঘ’ তফসিল অনুসারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনস্থ এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের সন্তান হিসেবে ভর্তিকৃত ও সিলেকশন প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করা না হলে শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি -বাকশিস আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। স্মারকলিপি প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ ভর্তিকৃত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভর্তি কেড়ে নেয়া এবং সিলেকশন প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বাধা দেয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। স্মারকলিপিতে বলা হয় আন্ত: শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি বিজ্ঞপ্তি জারী করে এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের সন্তানদের কোটায় ভর্তি কেড়ে নেয়ার ঘটনাকে সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী এবং নজিরবিহীন উল্লেখ করে অভিযোগ করেন যে আন্ত: শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতির জারী করা বিজ্ঞপ্তি একপেশে, পক্ষপাতমূলক, সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য সৃষ্টিতে সহায়ক, ভর্তি নীতিমালার সুস্পষ্ট লংগন এবং ভুলব্যাখ্যা। যা দেশে চলমান অস্থির পরিস্থিতিতে জটিলতা তৈরি করে গোষ্ঠী স্বার্থ হাসিল করার প্রয়াস।
অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা না হলে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও, মানববন্ধন সহ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আন্ত: শিক্ষা বোর্ডে সভাপতির জরুরি বিজ্ঞপ্তি অকার্যকর করার জন্য স্মারকলিপিতে পাঁচটি সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়, প্রথমত : ভর্তি নীতিমালার ৩.২ অনুচ্ছেদ এর ‘ঘ’ তফসিলে সরকারি বেসরকারি কোন উল্লেখ নেই যা তিনি বিজ্ঞপ্তিতে শুধু সরকারি শিক্ষকদের জন্য ঊছ-২ কোটা প্রযোজ্য নয়। এ জন্য বিজ্ঞপ্তিটি নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক, দ্বিতীয়ত : ভর্তির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং কলেজগুলোতে কোটায় ভর্তি সম্পন্ন হওয়ার পর ভর্তি বাতিল বা ভর্তিতে বিজ্ঞপ্তি জারী করে বাধাদান অযৌক্তিক ও বেআইনী,  তৃতীয়ত : এই বিজ্ঞপ্তি পক্ষপাতদুষ্ট, একপেশে ও বৈষম্য সৃষ্টির প্রয়াস, চতুর্থত : বিগত কয়েক বছর যাবৎ একই নীতিমালায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের সন্তানরা কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়ে আসছে, এই সুযোগ কেড়ে নেয়ার অধিকার কারও নেই, পঞ্চমত : এই বিজ্ঞপ্তি দেশের ৯০ ভাগ জাতীয় শিক্ষার দায়িত্ব পালনরত শিক্ষকদের অধিকার খর্ব করার প্রয়াস যা সংবিধান ও স্বাভাবিক ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। স্মারকলিপিতে ন্যায্যতা ও সুবিচারের স্বার্থে আন্ত: শিক্ষা বোর্ড সভাপতির বিজ্ঞপ্তি অকার্যকর করে শিক্ষা পরিবারের সর্ববৃহৎ অংশীজন বেসরকারি শিক্ষকদের সন্তানদের বিগত বছরের ন্যায় বিদ্যমান কোটায় সিলেকশন প্রাপ্ত সকল মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার জন্য আহবান জানান। এ সময় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আমীরুল মোস্তফা ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ছাড়াও বাকশিস কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. আবু তাহের চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ আ ন ম সরওয়ার আলম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মালেক, জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক অধ্যাপক সুনীল কুমার শীল, দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক সনজীব সেন গুপ্ত, তথ্য ও পাঠাগার সম্পাদক অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ আবু মোহাম্মদ, অধ্যাপক সুপর্ণা রায় চৌধুরী, অধ্যাপক তাহেরা বেগম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর