আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফটিকছড়িতে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারি ট্রাস্ট’র ত্রাণ বিতরণ


অনলাইন ডেস্ক

ফটিকছড়িতে অন্তত দশহাজার বন্যা দুর্গতদের মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করেছে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট ও মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণাধীন বিশেষ করে হারুয়ালছড়ির ‘শোকর এ মওলা’ মঞ্জিলসহ বিভিন্ন শাখা কমিটির পাঁচ শতাধিক সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বানভাসী মানুষদের উদ্ধার কাজে অংশ নেন। বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেন। ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর, হারুয়ালছড়ি, নারায়ণহাট, পাইন্দং, সুয়াবিল এবং হাটহাজারী উপজেলার ধলই ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এদিকে বন্যা দুর্গতদের জন্য গত শুক্রবার থেকে দিনে এবং রাতে আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, বোতলজাত পানি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহর করা হয়।

এদিকে ফটিকছড়ি, হাটহাজারীর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়ার বন্যাদুর্গতদের মাঝে রান্নাকরা খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এদিকে হারুয়ালছড়ির বিস্তৃর্ণ এলাকায় বন্যাদুর্গতের মাঝে ত্রাণ ও খাবার বিতরণ কর্মসুচির নেতৃত্ব দেন হারুয়ালছড়ির ‘শোকর এ মওলা’ মঞ্জিলের প্রতিষ্ঠাতা মাইজভান্ডারি গবেষক শাহেদ আলী চৌধুরী।

এছাড়া শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও দুর্গত এলাকাসমূহের বানভাসী মানুষদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে বিশেষ চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালিত হচ্ছে। শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট ও কেন্দ্রীয় পর্ষদ কর্তৃক গঠিত ‘দুর্যোগ মোকাবেলা ও পুনর্বাসন সেল’ হতে বানভাসী মানুষদের জন্য সহায়তা কার্যক্রম বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর