মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শান্তি সমাবেশ করেছে চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ চৌধুরী জুনু’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ও চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা কায়সার উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল মালেক রানা, মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট নজরুল ইসলাম ইসলাম সেন্টু, উৎপল রক্ষিত, ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে- এডভোকেট খোরশেদ বিন ইসহাক, আবদুল শুক্কুর, খোরশেদ আলম টিটু, আবদুর রহিম চৌধুরী, এসএম সায়েম, আবদুল আলীম, দোহাজারী পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন খান মুরাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল নোমান বেগ, আলমগীরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা তৌহিদুল আলম, মুরিদুল আলম মুরাদ, হাসান মাহমুদ, মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোজাম্মেল হক, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফয়েজ আহমদ টিপু, উপজেলা তাঁতী লীগ আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, আ.লীগ নেতা শাহ্ আলম মেম্বার, জামাল উদ্দিন মেম্বার, আসকর খান বাবু, এরশাদুর রহমান সুমন, শওকত খান, যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান আরজু, লোকমান হাকিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারজাদুল ইসলাম চৌধুরী আরমান প্রমুখ। এছাড়া শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

শান্তি সমাবেশে বক্তারা বলেন, "নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল হয়। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে বিধায় বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। বিএনপি জামায়াতের অতীত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে তারা রাষ্ট্রের বন্ধু নয়। ক্ষমতা কিংবা ক্ষমতার বাইরে থেকে তারা প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলো। বর্তমানেও তাদের চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে থামিয়ে দিতে চায় তারা। কিন্তু তারা সফল হবে না বুঝতে পেরে ষড়যন্ত্র করে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় তারা। যতই ষড়যন্ত্র হোক ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই।"