আজ ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পশ্চিম রায়জোয়ারা যুব সমাজের উদ্যোগে ১৯তম ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত


মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় পশ্চিম রায়জোয়ারা যুব সমাজ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা রায়জোয়ারা ওয়ার্ড শাখার যৌথ উদ্যোগে তালুকদার পাড়া সুন্নি যুব সমাজের ব্যবস্থাপনায় শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে দোহাজারী রায়জোয়ারা ইসলামিয়া নজিরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে ১৯তম আজিমুশ্শ্বান ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আফজল মিয়া সওদাগর স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দোহাজারী পৌরসভা যুবলীগ আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনচুর আলী ফয়সাল।

উদ্ভোধক ছিলেন আলোকিত দোহাজারী ম্যাগাজিন প্রকাশক ও সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল গফুর রব্বানী।

মাওলানা আহমদ শরীফ নকশবন্দীর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন ভারতের নয়া দিল্লী দরবারে খাজা নিজামুদ্দীন আউলিয়া মাহবুবে ইলাহী খলিফা ও আল হাসনাইন পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আল্লামা ক্বারী শাহ্ মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন আল-বারী (মা.জি.আ.)।

বিশেষ বক্তা ছিলেন, দোহাজারী রায়জোয়ারা ইসলামিয়া নজিরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ইসলাম নক্সবন্দী, সিনিয়র মুদাররিস মাওলানা মুহাম্মদ আবু ইউসুফ আল-কাদেরী, মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-কাদেরী, পশ্চিম রায়জোয়ারা মোহাম্মদ আলী ফকির (রহ:) জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম আল-কাদেরী।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলানা শওকত আলী, হাফেজ নুরুল হোসাইন, মাওলানা সাহেদ হোসাইন, সমাজ সেবক আবু তাহের সওদাগর, আইয়ুব আলী, জানে আলম, ইসহাক মিয়া, আহমদ শফি সওদাগর, হারুন-অর-রশিদ, মোহাম্মদ মুছা সওদাগর, আলী আকবর, শফিকুর রহমান, খলিলুর রহমান, আবু তাহের, ইসমাঈল, নুরুল হক, আব্দুল আলম, জয়নাল আবেদীন, খোরশেদ আলম, আব্বাস উদ্দীন, আব্দুল হাফেজ, প্রবাসী আবুল হোসেন, ইউনুস সওদাগর, ইব্রাহিম, কামাল উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, দিদার হোসেন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, শুধু মুখেই আশেকে রাসুল দাবি করলে হবে না, কথাবার্তা, আচার-আচরণ, পোষাক-পরিচ্ছদসহ জীবনযাপনের প্রতিটি ধাপে প্রিয় নবীজির সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে, সব কিছুর ঊর্ধ্বে এমনকি নিজের জানমালের চেয়েও বেশি ভালবাসতে হবে প্রিয় রাসুলকে। রাসূলের (সা.) রেখে যাওয়া সুন্নাতসমূহকে পুনরুজ্জীবন দান করা এবং তাঁর অনুপম আদর্শ বাস্তবায়নের দিকে ধাবিত হতে হবে। এর মাধ্যমেই বহিঃপ্রকাশ ঘটে সত্যিকার রাসুল প্রেমের এবং অর্জিত হবে প্রিয় নবীর সন্তুষ্টি। বাস্তবিকপক্ষে সুন্নাতে নববী ও আদর্শের অনুসরণকারীই হচ্ছেন প্রকৃত আশেকে রাসুল।

পরে মিলাদ ও কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা শেষে তবারুক বিতরণের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর