আজ ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেঁয়াজের কেজি ১৪০, আলু ৭০ টাকা


চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক

ভারত সরকার পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে রপ্তানির ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, যা গতকাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনও দাম কম আছে। দাম আরও বাড়বে।

কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়ায় অবাক ক্রেতারা। তারা হতাশা প্রকাশ করে বলছেন, এমন দেশ কোথাও নেই যেখানে কারণ ছাড়াই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়ায়। সরকারের উচিত দ্রুত বাজার মনিটরিং করা।

গত রোববার সরেজমিনে রাজধানীর বাজারগুলোয় দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে।

অথচ গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। অর্থাৎ দুই দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

একই দৃশ্য দেখা গেছে সাদা ডায়মন্ডের আলু বিক্রিতেও। বৃহস্পতিবার এই আলু ৫৫ থেকে হচ্ছে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই আলু আজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দামও।

রাজধানীর বাড্ডা বাজারের ব্যবসায়ী মইন উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়ছে। আড়তদাররা জানিয়েছেন আরও বাড়বে। তিনি বলেন, দুদিন আগেও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৮০ টাকা কেজিতে। আজ (গতকাল) আমদানি করা পেঁয়াজ কেনাই পড়েছে ৯৪ টাকা কেজি। আমি কেজিপ্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি করছি। আর দেশি পেঁয়াজ কেনা পড়েছে ১১৮ টাকা কেজি। খরচসহ ১২৩ টাকা পড়েছে, তাই কেজিপ্রতি ১৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

ক্রেতা নাজমুল হাসান বলেন, রাতের ব্যবধানে সেঞ্চুরি পার করেছে পেঁয়াজ। রাতে যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ টাকা, সকালে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এটা কি হরতালের প্রভাব?

দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে শ্যামবাজারের আমদানিকারক সুমন ব্যাপারী বলেন, এখন আড়তে কিংবা ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁয়াজ নেই। এ ছাড়া ভারত পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

ভারত সরকার পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে রপ্তানির ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, যা আজ (গতকাল) থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্য-বিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় শনিবার জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি টন পেঁয়াজের দাম ৮০০ ডলার হলে কেজিপ্রতি এর রপ্তানি মূল্য পড়বে ৬৭ রুপি। ফলে দেশের ভেতরে কোনো কোনো বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ রুপি পর্যন্ত উঠে গেছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে গেলে বাড়তি দামে কিনতে হবে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর