আজ ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

সীতাকুণ্ডে ৭০ লিটার বিদেশী মদসহ মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু বেগম গ্রেফতার


দিদারুল আলম (দিদার)

চট্রগ্রাম সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাফিয়া ষ্টাইলে মদ,ইয়াবা সহ উন্নত মাদক বিক্রয় ও সরবরাহের তথ্য পেয়ে বিশেষ অভিযানে এক মাদক সম্রাঘ্রী মিনু সহ ৮ জনকে গ্রেফতার ও অপর একটি অভিযানে ৭০ লিটার বিদেশী মদ সহ একটি মাইক্রো আটক করেছে।
সীতাকুণ্ড থানার এসি তোফায়েল হোসেন জানান,মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু বেগম (৫৫) পিতা-মৃত তোফায়েল আহমেদ গ্রাম- সোনার পাড়া( রেল লাইনের পূর্ব পাশে), ছোট কুমিরা, কুমিরা ইউনিয়ন, থানা- সীতাকুণ্ড, জেলা- চট্টগ্রাম অত্যন্ত সুচতুর ও রাজনৈতিক ভাবে সরকারী দলের অনুসারী হওয়ায় টেকনাফ থেকে কুমিরা টু ঢাকাসহ আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিদের অন্যতম সদস্য বলে বিবেচিত হওয়ায় তিনি সুকৌশলে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে (তার আস্তানায়) প্রবেশ করতে হলে স্পেশাল সিকিউরিটির পাহারা ভেদ করে প্রবেশ করতে হয়। এই মাদক সম্রাজ্ঞীর সিকিউরিটি সদস্য ও ইনচার্জ হিসেবে স্থানীয় প্রভাবশালী সদস্য ও অন্যান্য অনুভূতির জনবল নিয়োগ করা আছে। এদের দেখভালসহ দৈনন্দিন খরচ বাবদ প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে খরচ করেন এই মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু।

এজন্যই এই মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু বেগমকে গ্রেফতার করতে পুলিশ বারবার অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। দীর্ঘ ব্যর্থতার পরে ছদ্মবেশ ধারণ করে ২০ মে মধ্যরাতে ওসির সার্বিক দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্রয়োজনীয় পন্থা অবলম্বন করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবু সাঈদ ও সেকেন্ড অফিসার এসআই মুকিব হাসানের নেতৃত্বে এস আই ফারুক,এসআই সুজন শর্মা,এএসআই জমির, এএসআই সুমন, এএসআই রকিবুল ও ফোর্সের পারস্পরিক সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ৯৩৭ ( নয়শত সাঁইত্রিশ) পিচ ইয়াবা ও ০১(এক) কেজি গাঁজা সহ বর্ণিত মাদক সম্রাজ্ঞীকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত তার আবাসস্থল সোনার পাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।

এই মাদক সম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ১২টি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই মাদক সম্রাজ্ঞী ও মাফিয়ার বিরুদ্ধে অত্র থানার বিভিন্ন অফিসার যতবারই অভিযান পরিচালনা করেছেন ততবারই সে(মিনু) কোন না কোন নামে দরখাস্তের প্রদানের মাধ্যমে সে সকল অফিসারকে হেনস্তার শিকার করেছেন। এই কারণে অনেকেই এই মাদক সম্রাজ্ঞীকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতো। এই মাদক সম্রাজ্ঞীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে যে, সে একজন আন্তজার্তিক মাদক চোরাচালানের সদস্য৷ সে আরো স্বীকার করেছে যে, সে দীর্ঘ দুই দশক ধরে মাদক ব্যবসা করে আসতেছে। তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য একটি টিম অভিযানে নিয়োজিত আছে।

অপরদিকে ফেনী থেকে একটি মাইক্রো বিপুল পরিমান বিদেশী মদ সহ চট্টগ্রামের দিকে আসছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাসড়কের কদম রসুল এলাকায় পুলিশ অবস্হান নেয়,মাইক্রোটি পুলিশ দেখে দ্রুত চালিয়ে চলে যায় পুলিশ পিছু নিলে চোরা কারবারিরা তাদের গাড়ীটি মাদামবিবিরহাট নেভী রোডে ঢোকে পড়ে তবে ধরা পড়ার ভয়ে গাড়ীটি ফেলে পালিয়ে যায়,পুলিশ গাড়ীটি তল্লাসী চালিয়ে ৭০( সত্তর) বোতল বিভিন্ন বিদেশী মদ উদ্দার করে ও গাড়ীটি জব্ধ করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর