ফারুকুর রহমান (বিনজু), পটিয়াঃ গত ৪ দিনের প্রচন্ড বর্ষণে পানিতে ভাসছে পটিয়ার অধিকাংশ এলাকা। উপজেলার হাইদগাঁও পূর্বান্বলের পাহাড়ি ঢল, শ্রীমতি খালের পানির শ্রোত ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নসহ একটি পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। পটিয়া পৌর শহরের মধ্যে গোবিন্দার খীল, মাঝির ঘাটা, পোস্ট অফিস মোড়, সেয়ান পাড়া, পাইকপাড়া, কাগজীপাড়া, সুচক্রদন্ডী, বাহুলী সহ
ইউনিয়ন পর্যায়ের দক্ষিণ ভুর্ষি, ধলঘাট, আশিয়া, কাশিয়াইশ, জিরি, হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা, ছনহরা, ভাটিখাইন, কচুয়াই, খরনা, কেলিশহর, জঙ্গল খাইন, বড়লিয়া, শোভনদন্ডীসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
অসংখ্য পুকুর ডুবে গিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ ও মৎস পোনা পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া হাজার হাজার একর আউশ ধান ও রবিশস্য নষ্ট হয়ে যাবে আশংকা করা হচ্ছে।
রাস্তা-ঘাট, সেতু, কালভার্ট, বাড়ি-ঘর পানিতে ভেসে গিয়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ গৃহহারা হয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। পৌরসভাসহ ইউনিয়নগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘পৌর এলাকায় যত্রতত্র অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের ফলে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে।
ভারী বর্ষণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সাধারণ মানুষের জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভুর্ষি ইউপির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘গত ৪ দিনে টানা বর্ষণে শত শত পুকুর, ঘরবাড়ি, হাজার হাজার একর আউশ ধান ও রবিশস্য রাস্তা-ঘাট, পানিতে ভেসে গেছে। ঘনঘন বন্যার ফলে কৃষক ও মৎস্য চাষিদের অপরিসীম ক্ষতি হচ্ছে। পূর্বান্বলের পাহাড়ি ঢল, শ্রীমতি খালের পানির শ্রোত ও জোয়ারের পানিতে দক্ষিণ ভুর্ষি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকায় জলাবদ্ধতার পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।’
পটিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো আতিকুল মামুন বলেন, ‘অতিবৃষ্টিতে উপজেলার সাধারণ মানুষের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্থদের যথাসাধ্য সহায়তা দেয়া হবে।’
Leave a Reply