নুরুল আবছার চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উত্তর চট্টগ্রাম সংবাদদাতা >>> রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এবারে ১৬০ শতাধিক এর উপরে পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব পালন করা হবে। সনাতানিদের ওই দূর্গোৎসবকে ঘিরে পূজা মন্ডপগুলো বিভিন্ন আলোকসজ্জা মাধ্যমে সাজানো প্রায় শেষ প্রান্তে। পূজা নির্বিঘ্নে করতে আইন শৃংখলা রক্ষায় সেনা বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন সহ সেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে। ওদিকে আবার রাজনৈতিক দলের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সাথে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে পৃথক মতবিনিময় সভা হয়েছে। আলোচনা সভায় ওসব রাজনৈতিক দলের নের্তৃবৃন্দরা দূর্গাউৎবে প্রশাসনের পাশাপাশি এরাও নিরাপত্তা রক্ষায় এগিয়ে আসবে বলে ঘোষণা দেন। গতকাল উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সাথে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মুরাদ, সেক্রেটারি মো: কামাল মাষ্টার ও যুগ্ন- সেক্রেটারি মাও, শওকত হোসেন মাষ্টার, গফুর মাষ্টার, সরোয়ার হোসেন প্রমুখ। উৎসব মুখর পরিবেশে আগামী ৯ অক্টোবর তাদের মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু হবে। ১২ অক্টোবর দশমীতে দূর্গো বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ওই উৎসব। দূর্গো উৎসবকে ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে গরীব ও দু:স্থদের বস্ত্র বিতরণ ও উপজেলা পূজা পরিষদ বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নিয়েছে। গীতা ভবনের উদযাপন পরিষদের সভাপতি কৃঞ্চ দে জানান, এক মাস আগে থেকে রাঙ্গুনিয়ায় দেবদেবী তৈরির কাজ শুরু হয়। অধিকাংশ পুজা মন্ডপে দেবী প্রস্তুত। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে সব মন্ডপে দেবী তৈরীর সাজসজ্জার কাজ শেষ হবে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হিন্দু পরিষদের সভাপতি বাবলু দাশ জানান, দুর্গোউৎবে সঙ্গে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মী এসব দেবী পূজা জন্য প্রস্তুত। আগে একটা দেবী সেট তৈরি করতে খরচ হতো ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন বাঁশ, কাঠসহ তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেশি। তাই প্রতি সেট তৈরিতে খরচ হচ্ছে একলক্ষ থেকে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব যথাক্রমে অরুপ চৌধুরী ও হারাধন জানান, এবারের পূজা হবে অন্য বছরের তুলনায় ঝাঁকজমাক পূর্ণ। প্রশাসন থাকবে আমাদের মাঝে। চন্দ্রঘোনা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ওম প্রকাশ দে জানান, রাঙ্গুনিয়ায় পূজা মন্ডপের প্রতিমার কাজ শেষ। ৯ অক্টোবর উৎসব শুরু হবে। ওনি আরো বলেন, গত সাড়ে ১৬ বছর ধরে উৎসবের কাজে বিএনপি করার অপবাদ দিয়ে চন্দ্রঘোনা গীতা ভবন এলাকাকে সব ধরনের সহযোগিতা থেকে স্থানীয় আও,লীগ নেতা শেখর বিশ্বাস এর হস্তক্ষেপে বঞ্চিত রেখেছিল। কেউ অনুদান দিতে চাইলে উনি বাঁধা প্রদান করতেন। উপজেলা প্রশাসন এবারে হলেও গীতা ভবন পূজা মন্ডপে সহযোগীতার হাত বাড়ান। রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গত বারের তুলনায় এবারে বেশী জোরদার করা হয়েছে।
Leave a Reply