রাজীব আচার্য্যঃ
চন্দনাইশে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন আবদুস সবুর খানের ৫১ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার চন্দনাইশের বরমা খান বাড়িতে পালিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল খতমে কুরআন, জেয়ারত ও ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, শহিদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, স্মারক আলোচনা সভা, তাবারুক বিতরণ ইত্যাদি। শহিদের সমাধিতে উপজেলা প্রশাসন, সতীর্থ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, শহিদের পরিবার, শহিদ আবদুস সবুর খান স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
এতে টেলিফোনে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রীতা সেন।
বরমা খান বাড়ি সংলগ্ন বরমা শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম জয়নুল আবেদীন জনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মারক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার। প্রধান বক্তা ছিলেন বরমা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। উদ্বোধক ছিলেন বরমা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এডভোকেট আবদুল গফুর খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলরাম চক্রবর্ত্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনজুর, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, বরমা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মধুসূদন দত্ত, এনজিও ওডেবের এরিয়া ম্যানেজার মো. মাহমুদুল হক, অধ্যাপক দেবানন্দ বসু, আওয়ামীলীগ নেতা হারুন সওদাগর ও ইউপি মেম্বার জয়দেব গাঙ্গুলী নরেশ। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ লিয়াকত আলী।
সাংবাদিক রাজীব আচার্য্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদের ছোটভাই অবসরপ্রাপ্ত জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. আবদুর রহীম খান, ভাইপো সিরাজুল ইসলাম খান, মোঃ জাহেদ হোসেন খান, ফরিদুল ইসলাম খান, আবেদ হোসেন খান, জাবেদ হোসেন খান, নঈমউদ্দীন খান, মঈনুদ্দীন খান, সাংবাদিক শাহনুর দস্তগীর, ইফতেখার নুর তিশন, আরিফ হোসেন, নুরুল আবছার মেম্বার, মাওলানা মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, শওকত রেজা আল-কাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাংলার অহংকার। শহিদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর খানের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্মারক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা শহিদ আবদুস সবুর খানের চন্দনাইশে সড়ক নামকরণ এবং উনার নামে একটি পাবলিক লাইব্রেরি ও মিলনায়তন প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়ে নিকট দাবী জানান।
Leave a Reply