আজ ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: উদ্ধারকৃত ডাকাতি হওয়া মহিষ

চকরিয়ায় ডাকাতি হওয়া মহিষ লামা ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার!


ইসমাইল হোসেন লামা, বান্দরবানঃ জেলার লামা ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ডাকাতি হওয়া একটি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। মহিষটি কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে ডাকাতি করা হয়েছিলো বলে দাবি করছে চকরিয়া থানা পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার-চকরিয়া মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি করা বিভিন্ন সাইজের ১৮টি মহিষের মধ্যে দুই দফায় ১১টি মহিষ উদ্ধার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। এরমধ্যে একটি মহিষ পাওয়া গেছে লামা ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ৮টি ছোট-বড় মহিষ উদ্ধার করে পুলিশ। তন্মধ্যে ডুলাহাজারার উলুবুনিয়ার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন চৌধুরীর বাড়ি থেকে একটি ও ডাকাতের আস্তানা সংরক্ষিত বনের ডুমখালী থেকে সাতটি মহিষ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ডুলাহাজারা এলাকা থেকে প্রথম দফায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে আরও তিনটি মহিষ।

চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল ইসলাম জানান, ‘চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম গত ৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ১৮টি মহিষ ক্রয় করে ট্রাকভর্তি করে আনোয়ারার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে রাত পৌণে দশটার দিকে মহিষবোঝাই ট্রাকটির গতিরোধ করা হয় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের ডুলাহাজারার ডুমখালী রাস্তার মাথায়। এ সময় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ১৮টি মহিষ, ৭টি মোবাইল ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা লুঠ করে। এই ঘটনায় পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা রুজু করে মহিষ মালিক আব্দুর রহিম। ওইদিন ৩টি মহিষসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

আরও পড়ুন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বান্দরবানে মানববন্ধন

এসআই কামরুল আরও জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝটিকা অভিযান চালানো হয় ডুলাহাজারার উলুবুনিয়াস্থ পার্বত্য লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন চৌধুরী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়ির উঠান থেকে একটি বড় সাইজের এবং ডুমখালীস্থ সংরক্ষিত বনের ভেতরে ডাকাত-সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাতটি মহিষ।’

অভিযানে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী, এসআই কামরুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ‘বাকী মহিষগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। দুই দফার অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১১টি মহিষ আদালতের মাধ্যমে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর