নিজস্ব প্রতিবেদক: চন্দনাইশে ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটির উদ্যোগে ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ”।
এ উপলক্ষ্যে ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি লেখক ছড়াকার শিক্ষক শাহজাহান আজাদের সভাপতিত্বে বিকেলে গ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দনাইশের কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী, হিফজুল কোরআন ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ট্রাস্টি আলহাজ্ব অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, ওডেবের এরিয়া ম্যানেজার মো. মাহমুদুল হক, রহমানিয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি মো. নুরুল আলম ম্যানেজার, চন্দনাইশ বই বিনিময় উৎসব উদযাপন পরিষদের সংগঠক ওবায়দুল আলম রাকিব। লেখক সংগঠক সাফাত বিন সানাউল্লাহর সঞ্চালনায়
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মো. জসীম উদ্দিন, আবদুল্লাহ ফয়সাল, মফিজ উদ্দিন, জুবায়ের আজাদ, আবু উবায়দা মাহিন, রিদুয়ান আলম, মো. রিজভী, প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফ বলেন, ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, তাঁর শিক্ষক মরহুম আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর সহোদর ভাই মরহুম প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ সোলায়মান দু’জনই ছিলেন প্রথমকাতারের ভাষাসৈনিক এবং গুণী শিক্ষাবিদ। তিনি আরও বলেন, ভাষাসংগ্রামের মাঝে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বীজ নিহিত ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান ও ভাষাসৈনিক ছিলেন। আবার তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।। তিনি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রকুত ইতিহাস অধ্যয়ন করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে প্রিন্টেড বই এবং ডিজিটাল বই দুইভাবেই পাঠাভ্যাস করতে হবে। ম্যানুয়েল গ্রন্থাগারের উপযোগিতা সমধিক। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মাট গ্রন্থাগারের উপর ও গুরুত্ব দিতে হবে।
সভাপতি শাহজাহান আজাদ সববয়সের মানুষদের বই পড়ার সুবিধার্থে প্রতিটি গ্রামে গ্রন্থাগারপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে এগিয় আসার আহ্বান
জানান। পরে উপস্থিত সবার জন্য চা চক্রের আয়োজন করা হয়। চন্দনাইশে ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটির উদ্যোগে ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়। ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার স্মার্ট বাংলাদেশ ‘ এ বছরের গ্রন্থাগার দিবসের প্রতিপাদ্য।
Leave a Reply