আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের সাব-রেজিস্ট্রারদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করেছে এবং ২টি শর্তে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই।’
৬ মাসের জন্য কারাদণ্ড স্থগিত করার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকার খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডকে আরও ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন এবং ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৮ সালে ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় আপিল নাকচ করে তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার অপর একটি বিশেষ আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করেন। এই মামলায় তাকে আদালত ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য খুব শিগগির জাতীয় সংসদে আইনের যথাযথ সংশোধন করে একটি বিল উত্থাপন করা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার নতুন এক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নামে জামায়াতে ইসলামীর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর
Leave a Reply