নিউজ ডেস্ক >>> সরকার পতনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর দুষ্কৃতিকারীরা চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক-সৈয়দ মাহফুজ উন-নবী খোকনের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাংচুর ও করেছে দুর্বৃত্তরা।(৮ আগস্ট) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোয়ালিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্র জানা গেছে,হামলাকারীরা বাড়ির কাঁচের জানালা,দরজা, সিসিটিভি ক্যামেরা, পানির মোটর, সোলার প্যানেল ভাঙচুর করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।এ বিষয়ে সাংবাদিক সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘ পেশাজীবনে সরকারি খাল-বিল-পুকুর ভরাট, দখলসহ নানা অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছি। সম্প্রতি পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে শতবর্ষী গোদার পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করি। সংবাদ প্রকাশের ফলে পুকুর ভরাট বন্ধ করে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।আমি বাড়িতে না থাকায় হামলাকারীরা আমার পরিবারের সদস্যদের সবকিছু নিউজ করা লাগে কেন বলে গালাগাল করে। এর আগেও রাতের আঁধারে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা থানার সামনেই আমার ওপর হামলা করেছিল। ওই ঘটনায় আমি থানায় জিডিও করেছিলাম।তিনি আরও বলেন। আজকে আমি একজন প্রবীণ সাংবাদিকের উপর হামলা করতে তারা দ্বিধাবোধ করতেছে না সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা,তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান করে তিনি বলেন।ন্যায় ও সত্যের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হচ্ছে গণমাধ্যম।অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও এদেশে গণমাধ্যমের নিরাপত্তার প্রশ্ন থেকে যায়,যা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক।গণমাধ্যমকর্মীরা সত্য প্রকাশে অনেক সময় নিজেদের জীবন ঝুঁকি নিতেও পিছপা হোন না। এভাবে প্রতিনিয়তই গণমাধ্যম দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অথচ, এদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের নানা ধরনের হুমকি, গুমের শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি ন্যায় ও সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক গণমাধ্যমকর্মীকে জীবনও দিতে হয়। কিন্তু এটা তো চলতে পারে না।আমরা সরকারের প্রতি সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং একটি সাংবাদিক বান্ধব আইন প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।জীবন্ত হে কিংবদন্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আমরা বিশ্বাস করি- আপনার নেতৃত্বে দেশের গণমাধ্যম খাতে সুষ্ঠু ও অবাধ সাংবাদিকতা নিশ্চিত হবে,যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে।
Leave a Reply