অনলাইন ডেস্কঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জার্মান বিমান সংস্থা লুফথানসার তৈরি ‘লিডো/ফ্লাইট ৪ইডি’ নামের বিশ্বমানের ইন্টিগ্রেটেড ফ্লাইট ডেসপাচ সলিউশন চালু করেছে। এতে ফ্লাইটের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি খরচও কমবে। সিস্টেমটি ফ্লাইটের সময়, দূরত্ব ও গন্তব্যের জন্য সময়মত সঠিক পূর্বাভাস প্রদান করার পাশাপাশি উচ্চ-মানের বৈমানিক ডেটার ওপর ভিত্তি করে আবহাওয়া এবং আকাশ পথের অবস্থার তাৎক্ষণিক আপডেট প্রদান করে।
সলিউশনটি সর্বোত্তম রুট মূল্যায়নে সহায়তা করে। বর্তমান ফ্লাইট-সম্পর্কিত ডেটা বিবেচনায় রেখে এটি এয়ারলাইনসকে তাদের উড্ডয়ন সময়, খরচ ও জ্বালানী খরচ হ্রাস করবে-যার ফলে ৫ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানী সাশ্রয় হবে।
রাজধানীর বলাকা’য় এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও শফিউল আজিম বলেন, ‘আমরা আমাদের ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সেরা সরঞ্জাম ও অবকাঠামো বেছে নিয়েছি এবং নতুন এই সলিউশন বিমানকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইন হওয়ার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন কক্সবাজারে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, উদ্বোধন ডিসেম্বরে
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের বিমান চলাচলের ইতিহাসে প্রথম এয়ারলাইন্স, যারা এই ধরনের আধুনিক সলিউশন ব্যবহার করছে যেটি এমিরেটস, কাতার, ব্রিটিশ এবং সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বখ্যাত এয়ারলাইনগুলো ব্যবহার করছে।’
বিমানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন ফ্লাইট ডেসপাচ সলিউশন ব্যবহার করে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের রুট থেকেই বছরে ২০ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় করতে পারবে।
এসময় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের লুফথানসা সিস্টেমের সিইও টম ভ্যানডেনডেল, বিমানের ফ্লাইট অপারেশনের পরিচালক সিদ্দিক রহমান এবং চিফ অফ টেকনিক্যাল ক্যাপ্টেন তানভীর খুরশিদ বক্তব্য রাখেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
Leave a Reply