সরকারি হাসপাতালে আর কোনও মানুষকে যাতে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিতে না হয়, প্রত্যেকে যাতে বেডে চিকিৎসা পায়, সেটি ঠিক করার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের ৫০ জেলায় ৭৪টি শেখ রাসেল বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্র (স্ক্যানু) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে হাসপাতালে ১০ হাজার বেড ছিল না, এখন দেড় লাখ বেড আছে। আমরা আর কোনও মানুষকে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিতে চাই না। প্রত্যেকে যাতে বেডে চিকিৎসা পায়, সেটি ঠিক করতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘অনেকে বলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় আস্থা কম, বিদেশে যেতে হয়। করোনার সময় কেউ বিদেশ যেতে পারেনি। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছেন। করোনার কারণে অনেক হাসপাতালের মান উন্নত হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানের উন্নয়ন হয়েছে।’
‘ঢামেক যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, সেটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি সেরা ও বড় হাসপাতাল হবে’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গর্ব করে বলি যে বাংলাদেশে দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম যদি মনে থাকে তার একটি হচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে কেউ ফেরত যায় না, প্রত্যেকের জন্য জায়গা এখানে হয়ে যায়।’
আটটি বিভাগের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আমরা সেন্টরালাইজড করেছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় রোগীর অনেক চাপ, বিশেষ করে ঢাকা মেডিক্যালে। আমরা এটাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার চেষ্টা করছি। আটটি বিভাগে অর্থোপেডিক, নিউরোসায়েন্স, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আটটি হাসপাতালের ডিপিপি আমরা প্রণয়ন করেছি। ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। শিগগিরই তা একনেকে যাবে। সেটি হলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রণয়ন করা যাবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আহমেদুল কবির, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. টিটু মিয়া, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লা প্রমুখ।
Leave a Reply