গার্ডার দুর্ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে ৫ জন নিহতের ঘটনায় ১২টি কারণ চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এসব তথ্য জানান।
কারণগুলো হলো-সরকারি ছুটির দিনে কাউকে না জানিয়ে কাজ করেছে। প্রথমবার দিনের বেলায় গার্ডার স্থাপনের কাজ করা, অন্যদিন তারা রাতে কাজটি করতো। ক্রেনটি সহকারী দ্বারা পরিচালিত হয়েছে, ড্রাইভার থাকলে সেটি হতো না। ক্রেনটির লাইসেন্স ছিল না। ক্রেনটি যেখানে চালানো হচ্ছিল সে জায়গা অসমতল ছিল। ক্রেনটির ডিজিটাল মনিটর ছিল না। কাজের পূর্বানুমতি ছিল না। ট্রাফিক ব্যবস্থা ছিল না, মূলত ট্রাফিককে জানাতে হয়।
ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে যোগ্য লোক ছিল না, নিজেরা এসব লোক রেখেছিল। সেফটি ইঞ্জিনিয়ারের যথাযথ যোগ্যতা ছিল না। ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ছিল না। সেজন্য গার্ডার সরাতেও সময় লেগেছে। ঠিকাদার হিসেবে যাদের কাজ করানো হয়েছিল তাদের কোনও অনুমোদন ছিল না।
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন ছিঁড়ে প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনার পর প্রথমে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়, পরে সেটি বাড়িয়ে পাঁচ সদস্য করা হয়। ওই কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয়। এরপর বুয়েটের বিশেষজ্ঞকেও কমিটিতে যুক্ত করা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গ্রেফতার ব্যক্তিসহ তারা সবার বক্তব্য নিয়েছেন।
Leave a Reply