মুহাম্মদ আরফাত হোসেন- বিশেষ প্রতিনিধি: চন্দনাইশে হকার শ্যামল কান্তি নাথ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাতবাড়িয়া হারলা সার্বজনীন মহোৎসব উদ্যাপন পরিষদ। সমাবেশে এলাকার নারী- পুরুষের উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা তাদের আহাজারিতে হত্যার বিচারের দাবী জানান। ১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকালে উপজেলার সাতবাড়িয়া দেওয়ানজী পাড়া হরি মন্দিরের সম্মুখে পরিষদের সভাপতি মধু সূদন নাথের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, নিখোঁজের পর পর থানায় অভিযোগ দেয়ার ৮ দিন পর পার্শবর্তী পুকুর থেকে শ্যামলের লাশ উদ্ধার করা হলেও হত্যা কান্ডের প্রকৃত রহস্য এখনো পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। প্রত্যেক হত্যা কান্ডের পিছনে কারো না কারো ভূমিকা থাকে। সে ভূমিকাকারীকে সনাক্ত করতে পারলে হত্যা কান্ডের প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে বক্তরা দাবী করেন। শ্যামল দীর্ঘদিন পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালিয়েছে। সে কৃষি কাজ এবং জায়গা- জমির বিক্রির মধ্যস্থকারী হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। সে কারণে সম্প্রতি সময়ে কিছু লোকের সাথে জায়গা- জমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের এক পর্যায়ে শ্যামলের স্ত্রী ও মেয়ে মৃত্যুর দাবীতে কান্না- কাটি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার অমৃত বিকাশ নাথের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, রনধীর বিকাশ নাথ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাষ্টার হুমায়ন কবির, কৃষকলীগ নেতা শহিদুল কবির শাহীন, মো. হানিফ, মো. খোরশেদুল আলম, আবছার উদ্দীন, নিবাস চন্দ্র নাথ, শ্যামলের স্ত্রী কাজলী দেবী নাথ, ছেলে প্রবাসী আদর দেব নাথ, মেয়ে শিল্পী দেবী নাথ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা যথাক্রমে বলরাম চক্রবতীর্, বিষ্ণু যশা চক্রবতীর্, সমীরণ দাশ তপন, কৃষ্ণ চক্রবতীর্, সত্যপদ তালুকদার বাবলা, সৈকত দাশ ইমন, গোপাল কৃষ্ণ ঘোষ, বাবু দাশ বাবলা, সৌরভ দাশ শুভ, রূপন সুশীল, ললিত মহাজন, আশীষ চন্দ্র দে, রুবেল দাশ, ভবতোষ শীল, শিমুল পাল, সাধন নাথ প্রমুখ।
Leave a Reply