আজ ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের ভাতা প্রদানে নয়-ছয়


ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর

 

মো: শোয়াইব,হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের ভাতা প্রদানে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পেইনে দায়িত্ব পালনকারীদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাতা প্রদান করলেও নির্দিষ্ট ভাতা থেকে ভ্যাট, আইটি ও অডিটের নামে কেটে রাখা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। অংশগ্রহনকারী স্বাস্থ্য সহকারীদের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাতা পেয়েছেন জানালেও কত এসেছে তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি বলে জানান। তবে কেউ কেউ বিভিন্ন মারফতে জানতে পারলেও হয়রানি ও চোখ রাঙানির ভয়ে মুখ খোলেনি। অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারীদের সাথে কথা বললে কয়েকজন স্বীকার করলেও অধিকাংশরা নির্দিষ্ট ভাতার পরিমানে মুখ খোলেন নি। অপারগতা প্রকাশ করে অনেকে ইউএইচসিপি ও ভাতা বন্টনকারী অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর শৈবাল সেনের সাথে কথা বলতে বলেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি হাটহাজারী পৌরসভাসহ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ৩শ ৬১ কেন্দ্রে ৫৩ হাজার ৪৬ জন শিশুকে নীল ও লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬শ ৫০ কম। ক্যাম্পেইনে স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কেন্দ্র অনুযায়ী আপ্যায়ণ, ভিটামিন পরিবহন ও সম্মানি ভাতা বাবদ জনপ্রতি ৪ হাজার ৮৪৬ টাকা বরাদ্দ আসে। যা গত মাসের ১ তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পুষ্টিসেবা জনস্বাস্থ্য পুষ্টিপ্রতিষ্ঠান মহাখালী, ঢাকা ১২১২ স্মারক নং-এনএনএস/ভিটামিন এ-১০১৭ প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়। ক্যাম্পেইনের পর তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশনা থাকায় সময়মতই তা বুঝিয়ে দেয়া হয় তবে নির্ধারিত (কেবল আপ্যায়ণ থেকে) ভ্যাট কর্তনের পর ৪ হাজার ৭৮২ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয় ৪ হাজার ৩০০ টাকা। যা নির্ধারিতের চাইতে প্রতিজন ৪৮২ টাকা কম। অপরদিকে দপ্তরের যে কোন লেনদেন দাপ্তরিক নিয়মনুযায়ী ক্যাশিয়ার করার কথা থাকলেও তা করছেন অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর শৈবাল সেন। জানতে চাইলে এ বিষয়ে ইউএইচএন্ডএফপিও’র সাথে কথা বলতে বলেন। প্রতিজন স্বাস্থ্য সহকারীকে ৪ হাজার ৩০০ দেয়ার কথা স্বীকার করেন। ইউএইচএন্ডএফপিও রশ্মি চাকমার কার্যালয়ে রোববার দুপুরে সম্মানি ভাতার পরিমান জানতে চাইলে সোজাসুজি কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, যা বরাদ্দ তা দেয়া হয়েছে। কম দেয়ার কারন জানতে চাইলে বলেন ভ্যাট, আইটি ও অডিটের টাকা কর্তন করে বাকিটা দেয়া হয়েছে। এ ক্যাম্পেইনে কেবল আপ্যায়ন থেকে ৫% কর্তনের নিয়ম তাহলে এত টাকা কেন প্রশ্নে বলেন যা খুশি তা লিখে দেন। অডিটের টাকা কর্তন কোন নিয়মে জানতে চাইলে চুপ থাকেন তিনি। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, অডিট হচ্ছে উনাদের বিষয় অডিটের টাকা মানে প্রতি বছর বরাদ্দকৃত সরকারি বরাদ্দ সঠিকভাবে বন্টন না হলে তার রিপোর্ট রুখতে ঘুষ প্রদান করা। অডিটের নামে টাকা কর্তন এসব উত্তর হাস্যকর বৈ কিছু নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর