আজ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্প: সংগৃহীত ছবি

‘মিয়ানমার থেকে আরও ৬ লাখ রোহিঙ্গা আসার আশঙ্কা’


মিয়ানমার থেকে আরও ছয় লাখ রোহিঙ্গা আসার আশঙ্কা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। সম্প্রতি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েসের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ আশঙ্কার কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ যেমন মানবিকতা দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছে তেমনি যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গাদের অভিবাসনে দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে। দেশটি বছরে ৩শ থেকে ৮শ রোহিঙ্গা নেবে।বাংলাদেশ থেকে আগামিকাল বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপে ৬২ জন রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্র যাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন, তা জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দেশটি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে রোহিঙ্গা নিচ্ছে। তারা নিজ দেশের মানুষকে দেখিয়ে বলবে, দেখো, আমরা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু কতসংখ্যক রোহিঙ্গা নিচ্ছে, সেটি তারা বলবে না। তারা নিজ দেশের জনগণকে বলবে, দেখো, আমরা রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য করেছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলাম, তোমরা কতসংখ্যক রোহিঙ্গা নেবে? জবাবে তিনি বললেন, ৬২ জনের তালিকা করা হয়েছে। প্রতিবছর ৩০০ থেকে ৮০০ রোহিঙ্গা নেওয়া হবে। তখন আমি বললাম, এই সংখ্যা কিছুই না। তখন তিনি বললেন, এটা শুরু।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বর্গমাইলে ৪০ জন মানুষ বসবাস করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যদিকে বাংলাদেশে প্রতি বর্গমাইলে বসবাস করে ৩ হাজার ২০০ জন। আমি তাকে বললাম, তোমাদের দেশে যে জায়গা আছে, তাতে এক লাখ রোহিঙ্গা নেওয়া যায়। জবাবে তিনি বললেন, সারা বিশ্ব থেকে তারা ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা নেবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নেবে বছরে ৩০০ থেকে ৮০০ জন।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান শুধু প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই সম্ভব বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করছি, যাক নিলেই ভালো; রোহিঙ্গারা যদি সুন্দর জীবন পায়। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান শুধু প্রত্যাবাসনে। যুক্তরাষ্ট্র এখন যাদের নিয়ে যাচ্ছে, তাতে উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই। ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র ৩০০ জন নেবে, এই সংখ্যা কিছুই নয়; বরং দুশ্চিন্তা আছে। কারণ, মিয়ানমার থেকে আরও ছয় লাখ রোহিঙ্গা আসার আশঙ্কা রয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারে ইউনিসেফের অর্থায়নে ছয় হাজার স্কুল করেছি। যুক্তরাষ্ট্র যদি আরও স্কুল করতে চায় করতে পারবে। তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ দেবে। অনেক ঢংঢাং আছে। অবশ্য বাংলাদেশের ওপর ভার কমাতে রোহিঙ্গা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’

তথ্যসূত্র: পূর্বকোণ


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর