দিদারুল আলম (দিদার)
চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি বাদুরখিল বিদ্যুৎ বিহীন একটি এলাকা, স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত এই এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ চোখে দেখেননি।এলাকাবাসীর একটাই দাবি বাদুরখিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তারা বিদ্যুৎ চাই, কমিউনিটি ক্লিনিক চাই, রাস্তাঘাট ব্রিজ, কালভার্ট চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাই, বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে গেলেও দুঃখের বিষয় এই এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া এখনো লাগেনি। তীব্র তাপদাহে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিহীন একটি এলাকার প্রায় তিন হাজার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আবারও মানবতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস্ অফ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন। উক্ত সংগঠন ইতি মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীতবস্ত্র, খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করে বেশ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তারই ধারাবহিকতায় বাদুরখীল যুব একতা সংঘের আয়োজনে সম্মানীত মানবাধিকার নেতৃবৃন্দের শুভ আগমন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ১২ই মে বিকেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভূজপুর বাদুরখীল বাজারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।একতা সংঘের উপদেষ্টা আইয়ুব আলী সরদারের সভাপতিত্বে ও উক্ত মানবাধিকার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ শাহারিয়ার সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কিত করেন কেন্দ্রীয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন মীর। এতে বিশেষ অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহা-নগর কমিটির ভাইচ চেয়ারম্যান মোঃ খোকন মিয়া, এলাকার ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার নাসির উদ্দিন বাবু, উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও একতা সংঘের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জানে আলম। এ সময় বক্তারা রাস্তা, চিকিৎসা ও সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিহীন এই বাদুরখিল এলাকার দুঃখ দুর্দশার কথা উপস্থিত সকলের মাঝে তুলে ধরেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য রাসেল, আরিফ, নুর জাহান বেগম, আবুল কালাম, মোঃ বেল্লাল, একতা সংঘের সভাপতি নুরুল বশর, হাসেম সরদার, ওবায়দুল হক, মোঃ এমরান, বাপ্পি ও আরিফ সহ এলাকার সুশীল সমাজ, বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
Leave a Reply