চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাজেহুরা এলাকায় দাফনের ১০ মাস পর এক ইমামের অক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের বাজেহুরা দক্ষিণপাড়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে আবদুল করিম মুন্সি নামে ওই ইমামের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আব্দুল করিম মুন্সি বাজেহুরার পার্শ্ববর্তী হরিণধরা জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তাকে দাফনের ১০ মাস পর বৃষ্টির কারণে তার কবরটি ভেঙে যাওয়ায় সংস্কারের জন্য কবর থেকে মরদেহটি তোলা হয়। মরদেহ তোলার পর দেখা যায়- আবদুল করিম মুন্সির মরদেহ যেভাবে দাফন করা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই অক্ষত আছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইমামের মরদেহ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন বাজেহুরা এলাকায় ।
মৃত আব্দুল করিম মুন্সির ছেলে মাওলানা হাবীব মুন্সি বলেন, আমার বাবা দ্বীনদার পরহেজগার মানুষ ছিলেন। তার জীবদ্দশায় যে মসজিদে ইমামতি করেছিলেন, আমি এখন সেই মসজিদের ইমাম। বাবার কবরের পাশেই আমার আম্মাকে দাফন করা হয়েছে। আব্বার মৃত্যুর একমাস পূর্বে আম্মা মৃত্যুবরণ করেন। বৃষ্টির কারণে কিছুদিন পূর্বে আম্মার কবরটি ভেঙ্গে যায়। এরপর দেখি বাবার কবরটিও ভেঙ্গে যাচ্ছে। এরপর কবর দুটি সংস্কারের জন্য খুঁড়তে শুরু করি। কবর খুঁড়ার পর আমার ফুফাতো ভাইয়েরা আব্বার মরদেহের উপর হাত দিয়ে দেখেন কাপড় এরপর মরদেহ সঠিকভাবে (অক্ষত) আছে। এরপর আমরা আরেকটু খুড়ে মরদেহটি উদ্ধার করি। তিনি বলেন, এলাকার সবার মুখে আমার বাবার প্রশংসা শুনি। আমার বাবাকে যেন আল্লাহ জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন সেজন্য সবার দোয়া চাইছি।
ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লালন হায়দার বলেন, ১০ মাস পূর্বে চলতি বছরের জানুয়ারীতে আব্দুল করিম মুন্সির মৃত্যুর পর জানাজা পড়ে আমরা তাকে দাফন করেছি। আজকে শুনলাম কবর সংস্কারের জন্য তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে এবং মরদেহ অক্ষত অবস্থায় আছে। খবরটি শুনে আশ্চর্য্য হয়ে গেলাম। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশ যেভাবে দাফন করা হয়েছিলো- সেরকমই অক্ষত অবস্থা আছে। আবার জীবদ্দশায় আমি এ ধরনের ঘটনা দেখিনি কিংবা এরকম কোনো খবর শুনিনি। তথ্যসূত্র: কুমিল্লার কাগজ
Leave a Reply