সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের অনন্তপুর এলাকায় টায়ার ও বিভিন্ন রাবার পুড়িয়ে কালোতেল উৎপাদন করায় কারখানার দূর্গন্ধে ও কালো ধোয়ায় এলাকায় মারাত্বক পরিবেশ দূষন হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, বাড়বকুণ্ড ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বে কুন্ড রোডের ভিতরে অনন্তপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অসাধু এক ব্যবসায়ী অবৈধভাবে কালো তেলের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে বেড়ে চলছে, শিশুদের কাশি, অ্যাজমা, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ বালাই।
বাড়বকুণ্ড অনন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্রীতি রানী ভারতী জানায়, তাঁর বাড়ীর পূর্ব পাশে আবু তাহেরের মালিমকানাধীন জায়গার উপর নির্মিত "এস এস রূপান্তর" নামে একটি প্রতিষ্ঠান রাতের আধারে টায়ার পুড়িয়ে এক প্রকার কালোতেল তৈরি করছে। পোড়া মবিলের কালো ধোঁয়ায় শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধু তাই না এ নাম বিহীন পোড়া কালো তেলের ডিপোর দুর্গন্ধ যুক্ত কালো ধোঁয়ায় যেন মানুষ তথা সকল জীবের কাছ থেকে অক্সিজেন কেড়ে নিচ্ছে। বিষাক্ত এসিড মিশ্রিত কালো তেলে পোড়ানোর ধোঁয়াগুলো বায়ুমণ্ডলকে দূষণে এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঘনীভূত হচ্ছে। ফলে এলাকায় বিশেষ করে শিশুদের কাশি, এজমা ও হাঁপানি রোগের সূত্রপাত ঘটছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জসিম, সালাউদ্দিন, আইয়ুব আলী, হানিফ সহ অনেকে বলেন, টায়ার পুড়ানোর পোড়া তেলের গন্ধে বাচ্চাদের নিয়ে বসবাস করতে কষ্ট ও অসাধ্য হয়ে পড়ছে। বাচ্চাদের ঘন ঘন অসুখ হচ্ছে। পরিবেশ অধিপ্তরের অনুমতি আছে কিনা কালোতেল ডিপোর মালিক শ্যামা সেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতি নিয়ে তারা এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন তিনি।
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাইন্সেস বিহীন অনুমোদনহীন ও পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া অধৈব কর্মকান্ড চালিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে,এই নামের কোন প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ও লাইসেন্স নেই পরিবেশ অধিদপ্তরে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন,অবৈধ এই লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুদ্দীন রাশেদ বলেন, কালোতেল পুড়ার দুর্গন্ধের কারণে শিশু ও বয়স্কদের ডায়রিয়াও, শ্বাসকষ্ট, কাশি, সর্দি সহ বিভিন্ন রোগ বালাই হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এসব বন্ধ করে দেয়া দরকার।