মো: তৌহিদুল ইসলাম বাবলু:
মানবিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে নাটক নির্মিত হওয়ায় বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনায় আছে “প্রেম দহন” নাটকটি। অনবদ্য নির্মাণ শৈলী ও বিভিন্ন চরিত্রের অসাধারণ অভিনয় নাটকটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে। খুব শিগগিরই নাটকটির শুভমুক্তি হতে যাচ্ছে। সেই বিষয়ে নাটকের পরিচালক ইরফান হোসেন জেবুর সঙ্গে কথা হয়। তখন তিনি নাটকটির ব্যাপারে তাঁর উচ্ছাসের কথা জানান। তিনি বলেন, “প্রেম-দহন” নাটকটির ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী। আমি উচ্ছসিত নাটকটি নিয়ে। একটি অসাধারণ কাজ হয়েছে এটি। এখানে প্রথম জুটি বেধে অসম্ভব ভালো অভিনয় করেছেন নতুন প্রজন্মের পরিচিত মুখ আনিম ও মেহেরুফ। ইরফান হোসেন জেবুর পরিচালনায় দিদারুল ইসলামের প্রযোজনায় ড্রামাটিক প্লাজার ব্যানারে নির্মিত হয়েছে নাটক “প্রেম-দহন”। নাটকে গল্পের সূত্রপাত হয় একটি পিতৃপরিচয়হীন সমাজের অবহেলিত মেয়ের বড় হয়ে উঠা নিয়ে। প্রেম দহন নাটকটি শাহেদ খানের লেখা কাল্পনিক গল্পের উপর নির্মিত।” প্রেম – দহন ” শিরোনামের এই একক নাটকে ইরফান চরিত্রে দেখা যাবে আনিমকে এবং শাহিন চরিত্রে দেখা যাবে মেহেরুফকে। ইরফান একটি অভিজাত পরিবারের সন্তান, তার বাবা রহিম সাহেব। ইরফানের নিজের স্বার্থে সম্পর্ক গড়ে তুলে শাহিনের সাথে। এই সম্পর্ক বাবা জানতে পারলে ঘটে বিপত্তি। শুরু হয় সমাজের উচু-নিচু শ্রেণির বৈষম্য। এগিয়ে যায় কাহিনি। গল্পে দেখানো হয়েছে একটি মা-বাবা হীন মেয়ে সমাজে কতটা অবহেলিত অসহায়। পরিচালক আরও বলেন, ” নাটকে ভালো লাগার বিষয় হলো মেয়েটি সমাজে অবহেলিত হলেও, পুরো সমাজটাকে তার নিজের মনে করতো। এবং সমাজের গরীব দুস্তদের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ত। নাটকটিতে শেষাংশে দেখা যাবে, ইরফানকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বাঁচাতে মৃত্যুর মুখে এগিয়ে যায় শাহিন। এভাবে না পাওয়া জীবনের ইতি টানে শাহিন”।তিনি বলেন, “আমরা মানুষ। আমরা একে অন্যের উপর নির্ভরশীল, তাই উঁচু-নিচু, জাত-পাত ভেদাভেদ না করে মনুষ্যত্ব ও মানবিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাছাড়া একটি অবহেলিত মানুষও অন্য মানুষের জীবনে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে সেটা দর্শকরা দেখে অনুপ্রাণিত হবেন”তিনি বলেন, ” এটি একটি সুস্থধারার সামাজিক বাস্তবতার সাথে মিল রেখে নির্মিত নাটক। নাটকটি মূলত সমাজের অবহেলিত গরীব ঘরের মেয়ে এবং ধনাঢ্য পরিবারের ছেলের প্রেম কাহিনির উপর নির্মিত। নাটকটিতে আর ও অভিনয় করেছেন, এস এ রহিম, এসবি খাঁন, দিদার, মাহিন, পুষ্প, সানজিদা, মঈনুউদ্দীন, সাইবান, পিয়ুস, রাহুল, রাহাত, মিরাজ, লিটন প্রমুখ।”তিনি বলেন বলেন. ” প্রথমত চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শনী করা হবে। পরবর্তীতে ইউটিউব চ্যানেলসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার করা হবে। নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে। সেই সাথে নাটকটি প্রত্যেক দর্শকের মধ্যে মানবিক চেতনাবোধ জাগ্রত করবে বলে বিশ্বাস করি।”
Leave a Reply