আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জলবায়ু অভিযোজনযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে- ড.মোল্যা রেজাউল করিম


নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের মানুষের অফুরন্ত প্রাণশক্তি ও অদম্য কর্মপ্রয়াস বিদ্যমান। পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে যাতে জনগন খাপ খাওয়াতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহনকল্পে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সুনিপুন বাস্তবায়ন জরুরি।জলবায়ু অভিযোজনযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি করার আহবান জানান এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ক্লাইমেট এডাপ্টিবিলিটি বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশবিদ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

৮ই সেপ্টেম্বর (রবিবার) ফরেস্ট একাডেমি চট্টগ্রামের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধকার উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদ সৈয়দ মিনহাজুর রহমান বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগগুলি প্রমান করে আসন্ন দিনগুলিতে এই জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।জলবায়ু পরিবর্তন এর কারনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার প্যাটার্নে দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন আসছে। মানুষ এর জীবন ধারায় আমূল পরিবর্তন, প্রাত্যহিক জীবনে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা যেমন সুপেয় পানির সংকট,খাদ্য উৎপাদন কঠিন হওয়া, আবাসস্থল হারিয়ে ফেলা,অঞ্চল ভেদে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া,সমুদ্রের পানির স্তর বৃদ্ধি হয়ে অনেক এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

স্থানীয়ভাবে কিভাবে জলবায়ুর পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারি সে ব্যাপারে আমাদের সম্মিলিতভাবে কিছু পরিকল্পনা যেমন জনগনকে সচেতন করা এবং সংঘবদ্ধ করা যাতে কম্যুনিটি হিসেবে ফাংশন করতে পারে। এছাড়াও সংকটাপন্ন দিনগুলিতে যাতে খাদ্য পানীয় এর সংকটে ভুগতে না হয় সেজন্য সরকারি বেসরকারিভাবে পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া, নারী শিশু বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যাতে অপ্রত্যাশিত প্রানহানী না ঘটে,ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা,নিয়মিত তথ্য উপাত্ত এর মাধ্যমে আগাম দুর্যোগ এর খবর জানিয়ে দেওয়া,বন্যা পরবর্তী সময়ে ফসল ফলাতে যাতে কৃষক এর সমস্যা না হয় সে অনুযায়ী টেকসই সার,বীজ,কিটনাশক সরবরাহ করা,পর্যাপ্ত মানসম্মত শেল্টার হাউজ নির্মান, গবাদি পশুগুলিকে যাতে নিরাপদে সরিয়ে আনা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের থাকার ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।

এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের গবেষণাগারের পরিচালক ও বাংলাদেশ সরকারের উপ সচিব নাসিম ফারহানা শিরীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুর রাজ্জাক খান, ওব্যাট হেল্পার্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সোহেল আক্তার খান,বন গবেষক মো. আব্দুর রশিদ তালুকদার, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’র প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন চৌধুরী,মানবাধিকার সংগঠক সাজ্জাদ উদ্দিন,চিকিৎসক ডা: আহমেদ সৈয়দ,ফরেস্ট একাডেমি,চট্টগ্রামের ফরেস্ট রেঞ্জার মোঃ আব্দুল হামিদ,পরিবেশকর্মী সরওয়ার আমিন বাবু, সমাজকর্মী জিএম সাইদুর রহমান মিন্টু,ঘাসফুলের এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সাদিয়া রহমান,ওয়ান ম্যান আর্মির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ তৈয়ব, ইকো নেটওয়ার্ক গ্লোবালের প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর মেহেরাজ চৌধুরী, ইকো ফ্রেন্ডস’র সাংগঠনিক সম্পাদক কায়ুমুর রশিদ বাবু, এমআরটি ক্লাবের সভাপতি রায়হান ইসমাইল,১ টাকায় বৃক্ষরোপণ সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ ইয়াছিন,এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সদস্য তাসকিন হাবিবা, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর