অনলাইন ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী মৌলবাদীদের উত্থান, জাতীয়তাবাদীদের সংকীর্ণতা, শ্রেণিবৈষম্য, জাতিতে জাতিতে হানাহানি বন্ধে রবীন্দ্রনাথ আজ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নগরীর সিআরবির বইমেলায় রবীন্দ্র উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপাচার্য্য বলেন, বর্তমান বিশ্বে চলমান যুদ্ধ-সংঘর্ষ মোকাবিলায় রবীন্দ্রনাথ হতে পারে বিশ্ববাসীর অন্যতম সহায়। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য ও কর্মজীবনে আমাদের অসাম্প্রদায়িক হয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি শুধু বাংলা সাহিত্যের নয় বিশ্ব সাহিত্যেরও সম্পদ। তার কলমে আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতি নির্মিত হয়েছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। সংকীর্ণতার পথ থেকে মানুষকে মুক্তির দিকে আহ্বান করেছেন তিনি। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলার জন্য রবীন্দ্রনাথ আজকে আরও প্রাসঙ্গিক।

রবীন্দ্রনাথ তার কবিতা ও প্রবন্ধে জাতির সংকট মোচনে এক মহামানবের
প্রত্যাশা করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুই কবিগুরুর সেই মহামানব।’

আরও পড়ুন সিআরবিতে জমে উঠেছে বইমেলা

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে পৌছে দিয়েছেন বিকাশের চুড়ান্ত সোপানে। আর মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্টভাষা করার জন্য বাঙালি জাতি ১৯৫২ সালে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের আত্মমর্যাদাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় বইমেলা মঞ্চে এ রবীন্দ্র উৎসবে সভাপতিত্ব করেছেন শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলম। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন বই মেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহীদুল আলম।

আলোচনা সভা শেষে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন অভ্যুদয় সঙ্গীত অঙ্গন, ঘুংঘুর নিত্যকলা একাডেমি, স্কুল অব ওরিয়্যান্টাল ডান্স, শিল্পী রূপসী হোড়, এনড্রিল ভিনসেণ্ট ক্রাউলী, অনন্দিতা মুৎসুদ্দি।

আগামীকাল সোমবার ১২ জানুযারি বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে বই মেলা মঞ্চে নজরুল উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহিতুল আলম।