অনলাইন ডেস্কঃ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আগামিকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এজন্য চট্টগ্রামের সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটি জানায়, ঘুর্ণিঝড়টি বর্তমানে বঙ্গোপসাগর এলাকায় (২০.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৬° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৪ অক্টোবর ২০২৩) দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষরাত থেকে সকাল নাগাদ (২৫ অক্টোবর ২০২৩) মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
এজন্য মোংলা সমুদ্রবন্দরকেও পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় অন্যান্য জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হচ্ছে।
বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
Leave a Reply