আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে ব্যাপক অনিয়ম, খতিয়ে দেখছে কাস্টমস


রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমাদনিতে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, ঋণপত্র না খুলে কোনো পণ্য জাহাজীকরণের সুযোগ রাখা হয়নি আমদানি নীতিতে। কিন্তু সম্প্রতি ৮৭২টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে সে নিয়ম অমান্যের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, জাপান থেকে ‘মালয়েশিয়া স্টার’ জাহাজে ৮৭২টি গাড়ি এসেছে বাংলাদেশের দুই বন্দরে। এসব গাড়ির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩২১টি ও মোংলায় আছে ৫৫১টি। এসব গাড়ির উল্লেখযোগ্য সংখ্যকেরই ঋণপত্র (এলসি) নেই বলে অভিযোগ। তবে কতগুলোর ঋণপত্র নেই তা খতিয়ে দেখছে কাস্টমস। তিন শতাধিক আমদানিকারকের নামে আসা গাড়িগুলোর বেশির ভাগই সরবরাহ করেছেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী জহীর উদ্দিন। দেশে যত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি সরবরাহ দেয়া হয় তার সিংহভাগই তার কোম্পানি ক্রস কন্টিনেন্টালের।

চট্টগ্রাম কাস্টমস বলছে, চালানের ডকুমেন্টেসে প্রতিটিতে আমদানি ও রফতানিকারকের ঠিকানার মাঝে ঋণপত্র খোলা ব্যাংকের নামও উল্লেখ থাকে। কিন্তু এ চালানের কোনো দলিলাদিতেই এলসি খোলা ব্যাংকের নাম উল্লেখ নেই। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, ঋণপত্র ছাড়া একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত অনুমোদিত পণ্য দেশে আনতে পারেন। যখনই বড় আকারের অর্থাৎ অনেক গাড়ি আমদানি হয়, তখন কোনোভাবেই ঋণপত্র না খুলে জাহাজীকরণের সুযোগ রাখা হয়নি আমদানি নীতিতে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার কামরুন নাহার লিলি বলেন, সব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এর পরই প্রকৃত ঘটনা বোঝা যাবে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বারভিডার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এলসি ছাড়া আমদানি করা এসব গাড়ির অধিকাংশই ২০১৭ মডেলের, যা ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার নেই। তাই দ্রুত এ প্রক্রিয়ায় গাড়িগুলো আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমদানিকারক ও রফতানিকারকের পারস্পরিক বোঝাপোড়াতেই হয়েছে। রফতানিকারকের সঙ্গে ব্যবসায়িক বিশ্বস্ত সম্পর্ক থাকায় এলসি ছাড়াই পণ্য জাহাজীকরণ হয়েছে। বারভিডার হিসাবে, রিকন্ডিশন গাড়ি, টায়ার, পার্টসসহ এ খাতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে খাতটিতে।

তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর