চট্টগ্রামের চন্দনাইশ হাশিমপুর-বাগিচা হাট- বরমা সড়কের বরমা বাতাজুরী-মাইগাতা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদার থেকে বরমা ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্য ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত(২ মার্চ) বিকেলে এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. সাইফুল ইসলাম বরমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদার সাইফুল ইউনিয়ন পরিষদের মাইগাতা ও বাতাজুরী ওয়ার্ড এর মধ্যস্থলে খালের পাশে গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে আর.সি.সি রিটানিং ওয়ালের কাজ শুরু করে। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সওজ এর ৩-৪ টনের এম.এস পাইপ উত্তোলন করিয়া পাঠাইবার সময় বরমা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. টিপু, চর-বরমার ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনিছ মেম্বারসহ অবৈধভাবে হুমকি ধুমকি দিয়ে কাজের স্থান থেকে পাইপের গাড়ির ড্রাইভার কে মারধর করে গাড়ি সহ টিপু মেম্বারের বাড়িতে জিম্মী করিয়া নিয়া যায়। বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে আমাদের থেকে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে আমাদের থেকে ৫০ হাজার টাকা নগদে নিয়া যায়। গত বুধবার গভীর রাতে মেম্বার দ্বয়ের নির্দেশে ১১০০-১২০০ কেজি লোহার রড চুরি করিয়া নিয়া যায়। আমাদের কে হুমকি প্রদান করে এই কথা যেন কাউকে না জানায়, যদি জানায় কাজ বন্ধ করিয়া দিবে এবং আমাদের কে প্রাণে মারিবার হুমকি প্রদান করে।
চেয়ারম্যান খোরশেদুল আলম টিটু অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছেন এই রকম ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি ‘ কে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে আমাকে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউপি সদস্য মো. টিপু বলেছেন, ঠিকাদার রিটার্নিং ওয়ালের কাজ করতে গিয়ে ইতিপূর্বে পাইপ ও ড্রাম সিট দিয়ে যে বাঁধ দেয়া হয়েছে তা টেন্ডার ছাড়া ঠিকাদার শহরে নিয়ে যাচ্ছে। আমি ঐগুলো না নেয়ার জন্য বাঁধা দিই এবং ডকুমেন্ট পত্র দেখাতে বলি। পাইপ ভর্তি গাড়িটা আমি নিজ দায়িত্বে সরাই রাখছিলাম। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার ফোন পেয়ে গাড়ি ছেড়ে দিই। আমি কোন টাকা পয়সা নিই নাই। হইত পোলাপাইন যা ছিল তাদের নাস্তা খরচ দিছে মনে হয়। তবে আমি নিশ্চিত নই।
ইউপি সদস্য মো. আনিস ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেছেন, এই বিষয়ে আমাকে কেউ অবহিত করে নি। তবে যে ঠিকাদার কাজ পাবে সে ঠিকাদার পূর্বে যে মেটেরিয়াল ছিল তা নিয়ে যাবে। তার জন্য টেন্ডারের সময় আমাদেরকে টাকা পরিশোধ করে দেয়। বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখতেছি।
Leave a Reply