আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কমিউনিটি পুলিশিং ডে

সারাদেশে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ পালিত


আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ পালন করেছেন পুলিশ সদস্য ও সাধারণ জনগন। সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, জনগণকে সচেতন করা, আইনি সহায়তা দেওয়া এবং পুলিশ ও জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার দিবসটি পালন করা হয়। এবারের প্রতিবাদ্য ‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র, শান্তিশৃঙ্খলা সর্বত্র।’

পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সব জেলা, মেট্রোপলিটন, রেলওয়ে, হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ইউনিট স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করবে। আজ সকালে দিনটি উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বেলা ১১টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এক আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়েছে।

২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে পুলিশ সদরদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অপারেশনের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশ। ২০১৪ সালে একজন সহকারী মহাপরিদর্শকের (এআইজি) তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন (পিএস অ্যান্ড সিপি) শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং নামে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সারাদেশে মোট ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০১ জন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ওপেন হাউজ ডে’র মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভা, গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম, অপরাধবিরোধী সভা, দৃশ্যমান পেট্রল ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা।

বিগত ২০২১-২০২২ পর্যন্ত সময়ে সারাদেশে মোট ৪ হাজার ৩৫৬টি ওপেন হাউজ ডে-তে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৮টি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রতিরোধমূলক (বিট পুলিশিং) ৩৩ হাজার ৮২টি সভা আয়োজন করা হয়েছে। সভায় পুলিশের কাজে সহযোগিতা ও অপরাধ সচেতনতা তৈরিতে বাল্য বিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ, মোবাইলের অপব্যবহার ও সামাজিক মূল্যবোধ সংক্রান্তে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর