অনলাইন ডেস্ক
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্ন্ডট কর্ডেন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে তিনি এই ডিগ্রি অর্জন করলেন। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্টক পিয়ারসালের পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ৫ বছর সাধনার পর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়েছি। এ গবেষণায় বহু বিনিদ্র রজনী পার করেছি। আজকের অর্জনের ভালোলাগা বলে বোঝানো যাবে না। চাকরির পাশাপাশি গবেষণা চালিয়ে যেতে তো একটা চ্যালেঞ্জ আছেই।
তিনি বলেন, প্রথমত সেশনটা ছিল বৈশ্বিক মহামারী কোভিডে। কোভিডের কারণে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং আমাকে শিখতে হয়েছে। কোভিড না হলে হয়তো কারো সহযোগিতা পেতাম। কিন্তু কারো সহযোগিতা নেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। নিজের সবকিছুই নিজেকে করতে হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও গবেষণা কাজে অস্ট্রেলিয়ার একটা নীতি আছে। সেটি হলো- জ্ঞানের রাজ্যে নতুন জ্ঞান যুক্ত করতে হবে। নয়তো চলমান যে কোনো জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। এ দুটোর কোনোটা না হলে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত ডিগ্রির অনুমোদন দেয় না।
জেলা প্রশাসক বলেন, কনফার্মেশন লেটার পাওয়ার আগ পর্যন্তই অনিশ্চয়তায় ছিলাম। তিনজন সুপারভাইজর, এক্সটার্নালরা যদি থিসিসে সন্তুষ্ট না হন, আমার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হবে না। গত পাঁচ বছর কত পরিশ্রম করেছি সেটা আমিই কেবল জানি। এমনও হয়েছে- পেপার জমা দিয়েছি, প্রফেসররা বললেন, এভাবে নয়- এভাবে করো। নির্দেশনা অনুযায়ী করলাম। আবার নতুন করে নির্দেশনা দিলেন। এভাবে সময়, শ্রম যা দিয়েছি, যত অনিশ্চয়তা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের এক অভিনন্দন বার্তায় সব আনন্দে পরিণত হলো।
২৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের থিসিসের বিষয় ছিল ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডিং ইন দ্য অ্যাপারেল ভ্যালু চেইন: অ্যাভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’।
২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছর অস্ট্রেলিয়াতে সরাসরি গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে চাকরিতে যোগদান করে গবেষণার বাকি কাজ শেষ করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি একজন পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী মানুষ হিসেবে তিনি মাঠপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সৃজনশীলতার সঙ্গে চৌকসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক ফখরুজ্জামান চট্টগ্রামে হাজার একর খাসজমি উদ্ধার, পর্যটনখাতের ব্যাপক উন্নয়ন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট জেলায় রূপান্তরকরণে পুরস্কারপ্রাপ্তিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ, শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করছেন।
Leave a Reply