আজ ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চন্দনাইশ হাশিমপুরে দেড় বছরের বকনা বাছুর দিচ্ছে দুধ- গাভীটি গর্ভবতী নয়-বাচ্চাও দেয়নি


মুহাম্মদ আরফাত হোসেন: চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর খুনিয়ার পাড়া এলাকায় দেড় বছরের বকনা বাছুর গর্ভবতী নয়, বাচ্চাও প্রসব করেনি। এই অবস্থায় দৈনিক দেড় কেজি করে দুধ দিচ্ছে বলে জানা যায়। এ গাভীটির নাম ‘কামধেনু’ বলে জানা যায়। এ বিষ্ময়কর ঘটনা দেখতে আসছে হাশিমপুর খুনিয়ার পাড়ার এম আহমদ নবী চৌধুরীর বাড়িতে। আহমদ নবী জানান, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে জন্ম নেয়া বাছুরটি আস্তে আস্তে বেড়ে উঠে তার যত্ন ও পরিচর্যায়। গত এক সপ্তাহ পূর্বে হঠাৎ করে বকনা বাছুরটির দুধের ওলানটি নেমে গেলে তার দৃষ্টিতে পড়ে। তখন স্থানীয় একজন পশু চিকিৎসককে দেখালে তিনি বলেছেন, গাভীটি গর্ভবতী নয়। কি অদৃশ্য শক্তির কারণে দুধ দিচ্ছে সে বলতে পারেনি। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আহমদ নবী আরো বলেন, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দেড় কেজি করে এ বাছুর থেকে দুধ আহরণ করা হচ্ছে। এক রহস্যময় কালো গাভীটি বাচ্ছা প্রসব না করেও নিয়মিত দুধ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরিবারের কেউ এ দুধ পান না করার কারণে তিনি দুধগুলো দই বানাচ্ছেন। এই খবর শুনে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ গভীটিকে এক নজর দেখতে আসে ভিড় জমাচ্ছে আহমদ নবী চৌধুরীর গোয়াল ঘরে। উল্লেখ্য যে, গাভীটি জন্ম নেয়ার পর থেকে কোন সময় গর্ভবতী হয়নি এবং বাচ্চাও প্রসব করেনি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্ছ্যল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ব্যাপারে চন্দনাইশ প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল বলেছেন, সাধারণত হরমোন জনিত কারণে অথবা রোগের কারণে এ ধরনের হতে পারে। তবে গাভীটিকে দেখে পরীক্ষা করে বিস্তারিত বলা যাবে। এ গাভীর সন্ধান পেয়ে বেশ কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক গাভীটি চড়া দামে ক্রয়ের জন্য আহমদ নবীর বাড়িতে যায় বলে তিনি জানান। বকনা বাছুরটিকে ঘিরে হৈচৈ পড়ে গেছে কৃষক আহমদ নবীর বাড়িতে। একই ধরনের গাভী পাওয়া গিয়েছিল ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই শেরপুরে, একই সালে দিনাজপুর ৩০ নভেম্বর। তাছাড়া ভারতের উত্তর প্রদেশের আমেঠি এলাকায় চলতি বছর ১২ এপ্রিল গর্ভবতী না হয়েও ৭ বছর ধরে দুধ দিচ্ছিল ১টি গাভী। এ গাভীটির নাম ‘কামধেনু’ এক রহস্যময় কালো গাভী, সন্তানবতী না হয়েও দুগ্ধ উৎপাদন করে নিয়মিত। বাস্তবে যে এমন গাভী দেখা যায়, তা বিশ্বাস করা কঠিন। সে অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটে চলেছে চন্দনাইশের হাশিমপুরে। হ্যাঁ, এটা বিরল বিষয়, কিন্তু এরকমই তো হচ্ছে। যদিও বিষয়টি একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত বলে জানিয়েছেন পশু চিকিৎসকগণ। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গাভী গর্ভবতী হলেই তার হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে স্তনে দুধ আসে। কিন্তু এ গরুর হরমোন ক্ষরণের স্তর নির্দিষ্ট থাকে। এটা খুবই বিরল। তবে, কি এই দুধ আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়? চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এক্ষেত্রেও স্বাভাবিক ভাবেই দুগ্ধক্ষরণ হচ্ছে। এইচএফ ক্রস প্রজাতির এই গরুটির দুধের যে যে গুণ থাকার কথা, সবই রয়েছে। তাই কোনও ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর