অনলাইন ডেস্ক
সরকারের পদত্যাগসহ একদফা দাবিতে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার মহাসমাবেশ এবং পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি সফলে সাংগঠনিক বিভাগভিত্তিক ১০টি টিম গঠন করেছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির পাঁচ নেতার মধ্যে এসব টিমের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এসব টিমের অধীনে ৮১টি সাংগঠনিক জেলায় একজন করে কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, বিভাগভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হলেন-স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বচন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান। তাদের প্রত্যেককে দুটি করে বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্যের নেতৃত্বাধীন এসব টিমের অধীনে থাকবে সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক জেলাগুলো। প্রতিটি জেলায় আন্দোলনে দলনেতার দায়িত্ব পালন করবেন কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন নেতা। ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সম্পাদক পর্যায়ের নেতাদের মধ্য থেকে এই দলনেতা করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পর শুক্রবার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ময়মনসিংহের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।’
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সংশ্লিষ্ট জেলা অথবা মহানগরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে মূলত স্থানীয় নেতাদের দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করছেন। সবাইকে এবারের আন্দোলনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দ্বন্দ্ব ভুলে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
গত শুক্রবার ময়মনসিংহে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আমাদের বিজয়ী হতেই হবে। দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সরকারের দমন, নিপীড়ন উপেক্ষা করে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাই। এ ছাড়া গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সঙ্গে এক বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এবারের মহাসমাবেশ সফল করতে পারলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ অনেক কিছুর ফয়সালা হবে।
বিএনপির এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, গ্রেপ্তার বা আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব নেতারা সংশ্লিষ্ট জেলা বা মহানগরের পরিবেশ বিবেচনা করে আন্দোলন গড়ে তুলবেন। কোনো অবস্থায় আন্দোলনে যাতে তৃতীয় পক্ষ সহিংসতা ছড়াতে না পারে; সেদিকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমাদের মূল টার্গেট গণঅভ্যুত্থান। সাধারণ মানুষ যাতে আন্দোলনে অংশ নিতে পারে, সেই জন্য আন্দোলনকে যতদূর সম্ভব শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করা হবে।
Leave a Reply