অনলাইন ডেস্কঃ দেশের শ্রমবাজারে কর্মসংস্থান কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সংস্থাটির ত্রৈমাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৭০ হাজার।
সম্প্রতি সর্বশেষ ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩-এর জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিএস। এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে বেকার কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৩০ হাজারে। এর আগের প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দেশের বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখে। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে বেকার কমেছে ৭০ হাজার। সেপ্টেম্বর শেষে বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষ সবচেয়ে বেশি। দেশে এখন বেকারদের মধ্যে ১৬ লাখ পুরুষ, আর ৮ লাখ ৩০ হাজার নারী রয়েছে।
বিবিএস বলছে, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারা, যারা গত সাতদিনে কমপক্ষে ১ ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং গত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে দেশে বেকারত্বের হার কমে ৩ দশমিক ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগে জুন প্রান্তিকে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বেকার কমায় দেশের শ্রমশক্তি বেড়েছে গত তিন মাসে। বর্তমানে দেশে শ্রমশক্তিতে যুক্ত রয়েছেন ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার। জুন শেষে এ সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার। শ্রমশক্তি বলতে বোঝায়, ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী ও বেকার জনগোষ্ঠীর মোট সমষ্টিকে।
কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বলতে বোঝায়, গত সাতদিনে যারা কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কাজ করেছেন বা কমপক্ষে একটি মুরগি পালন করেছেন। সে হিসেবে দেশে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীও বেড়েছে। ২০২৩ সালের নয় মাস শেষে দেশে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার। এর আগে জুন শেষে এ হার ছিল ৭ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার।
তবে একই সময়ে দেশে শ্রমশক্তির বাইরে অবস্থিত জনগোষ্ঠীর পরিমাণ বেড়েছে। শ্রমশক্তির বাইরে জনগোষ্ঠী বলতে বোঝায়, যারা কর্মে নিয়োজিত নন আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নন। বিশেষ করে ছাত্র, অসুস্থ, বয়স্ক, কাজ করতে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও গৃহিণীরা এ হিসাবের অন্তর্ভুক্ত। বিবিএস বলছে, গত তিন মাসে এমন জনগোষ্ঠী বেড়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার। সেপ্টেম্বর শেষে শ্রমশক্তির বাইরে জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার। জুন শেষে এ হার ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার।
এছাড়া শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী জনগোষ্ঠীর হারও কমে যাচ্ছে। দেশে এখন শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জুন শেষে এ হার ছিল ৬০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। অথচ ২০২২ সাল শেষে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ছিল ৬১ দশমিক ২০ শতাংশ।
প্রতিবেদন: বণিক বার্তা
Leave a Reply