আজ ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডিসিসিআই-ভিয়েতনাম

ভিয়েতনামের বিনিয়োগ চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা


বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে একক ও যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বিশেষ করে কৃষি, জাহাজ নির্মান, ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল, ঔষধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হালকা প্রকৌশল খাতে বিনিয়োগে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান ডিসিসিআই নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি ডিসিসিআই আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বাণিজ্য আলোচনা সভা’ এবং বিটুবি ম্যাচ-মেকিং সেশনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এ আহবান জানান।

ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডু হুয়াক হাংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ৩১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনা ও বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ৭৩৯ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসন এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন উল্লেখ করেন, ভিয়েতনামের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ এবং কোভিড মহামারীকালীন সময়ে দুদেশের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে তা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের ভিয়েতনামে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডু হুয়াক হাং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার যোগাযোগ এখনও আশানুরূপ পর্যায়ে উন্নীত হয়নি এবং এ অবস্থার উন্নয়নে তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণের উপর জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা ও হ্যানয়ের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হলে দ্বিপাক্ষিক ব্যাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তিনি জানান, ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে ১৫টি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করেছে এবং বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা তাঁর দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য স্বল্প শুল্ক সুবিধা ভোগ করে রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি এস এম রহমান। এছাড়াও ভিয়েতনামের ৩১ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিটুবি সেশনে যোগদান করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর