আজ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী


ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, জাতির পিতার স্বপ্ন ইনশাল্লাহ আমরা পূরণ করবো।’

বঙ্গবন্ধুর সন্তান দুর্নীতি করে টাকা আয় করতে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিলো।  সেই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মোকাবিলা করেছি। যা পরে ভুয়া প্রমাণিত হয়।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় যেতে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল খালেদা জিয়া। বর্তমানে ভোটার আইডি, স্মার্ট করা হয়েছে। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে গেছে। দেশের প্রতিটি ঘরে আলো পৌঁছে দিয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছি। আগে নির্বাচন কমিশনের কোন আর্থিক সক্ষমতা ছিল না। সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কাছে রাখা ছিল, যেটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনের হাতে দিয়ে দিয়েছি। বাজেট থেকে সারাসরি তাদের টাকা দেয়া হয়। যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।’

ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং বেশ কিছু স্থানে ইভিএম চালু করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভিএম করার পরে আর কোন ভোট জালিয়াতি করার সম্ভাবনা রয়েছে কি-না, তা আমার জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ আমরা ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ পাশ করেছি। আমাদের যদি জনগণের ভোট চুরির দুরভিসন্ধি থাকতো তাহলে আমরা এই আইন কেন করলাম? খালেদা জিয়ার মত ঐ আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা করতে পারতাম। তাতো আমরা করি নাই। কারণ’ আমাদের জনগণের ওপর আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমরা চলি।’

১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। বিএনপিকেও ছাড়েনি। তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামায় জনগণ। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দেয়। ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে পৃথিবীর মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশ পুনর্গঠনকালে বলেছিলেন, ‘তাঁর মাটি ও মানুষ আছে এবং এই মাটি ও মানুষ দিয়েই তিনি দেশ গড়বেন, তাঁর সরকারও সেই নীতিতেই বিশ্বাসী।’

দেশের মানুষের ওপর তাঁর আস্থা ও বিশ্বাস আছে এবং একাজ বাংলার জনগণ পারবে বলে তিনি জনগণের ওপর আস্থা ব্যক্ত করে যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাঁর দল আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। কেননা, এটাই আওয়ামী লীগ এবং এটাই আওয়ামী লীগের শিক্ষা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস যেমন সংগ্রামের ইতিহাস আবার সেই সাথে সাথে আওয়ামী লীগই পারে একটা দেশকে উন্নত করতে বা এগিয়ে নিয়ে যেতে, যেভাবে এখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বঙবন্ধুর ভাষণের উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। বাংলাদেশের মানুষ যেদিন পেট ভইরা খাইতে পাইবে, যেদিন প্রত্যেকের মুখে হাসি ফুটিবে, আওয়ামী লীগের সংগ্রাম সেইদিনই ক্ষান্ত হইবে।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর