অনলাইন ডেস্কঃ বছর ঘুরে এপ্রিল মাস আসলেই সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এপ্রিল ফুল নামক মজার একটি উপলক্ষ্য তৈরি হয়। এপ্রিলের প্রথম দিন দিবসটি পালনে অনেকে অন্যের সাথে ব্যঙ্গ রসাত্মক আচরণ করে থাকেন। একে অন্যকে বোকা বানানোর এই চল চলে আসছে শত শত বছর ধরে।
ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৬৪ সালে ফ্রান্সে নতুন ক্যালেন্ডার চালু করাকে কেন্দ্র করে এপ্রিল ফুল দিবসের প্রচলন ঘটে। ঐ ক্যালেন্ডারে ১ এপ্রিলের পরিবর্তে ১ জানুয়ারীকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসাবে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে অনেকে এর বিরোধিতা করেন। যারা পুরোনো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ এপ্রিলকেই নববর্ষের প্রথম দিন ধরে দিন গণনা করে আসছিলো, তাদেরকে প্রতি বছর ১ এপ্রিলে বোকা উপাধি দেয়া হতো।
ফ্রান্সে পয়সন দ্য আভ্রিল উদযাপিত হয় এবং এর সাথে সম্পর্ক আছে মাছের। এপ্রিলের শুরুর দিকে ডিম ফুটে মাছের বাচ্চা বের হয়। এই শিশু মাছগুলোকে সহজে বোকা বানিয়ে ধরা যায়। সেজন্য তারা ১ এপ্রিল পালন করে পয়সন দ্য এভ্রিল অর্থাৎ এপ্রিলের মাছ। সে দিন বাচ্চারা অন্য বাচ্চাদের পিঠে কাগজের মাছ ঝুলিয়ে দেয় তাদের অজান্তে। যখন অন্যরা দেখে তখন বলে ওঠে পয়সন দ্য আভ্রিল বলে চিৎকার করে। কবি চসারের ক্যান্টারবারি টেইলস (১৩৯২) বইয়ের নানস প্রিস্টস টেইল এ এই দিনের ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন বরমায় শহিদ সবুর স্মরণে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন
পরবর্তীকালে এপ্রিল ফুল উদযাপনের দীর্ঘস্থায়ী প্রথা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এপ্রিল ফুলের দিন যাকে এপ্রিলের বোকা বানানো হয়, তাকে ‘এপ্রিল ফুল’ বলে হাসি তামাশা ও চিৎকার করে প্রকাশ করা হয়।
দিবসটি উদযাপনের ক্ষেত্রে যে কোনো একজনকে বোকা বানাতে হয়, সেটি আসলে ঠিক কতটা যুক্তিপূর্ণ তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের। দিবসটি উদযাপনে যে বা যারা অন্যকে বোকা বানায়, তারা আনন্দ পেলেও যাকে বোকা বানানো হচ্ছে সে তো দুঃখ পাবে এবং সেটি হয়ত তার মনোজগতে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বোকা বানানো এবং বোকা হওয়ার ক্ষেত্রে মানসিক দৃঢ়তা থাকা জরুরি।
Leave a Reply