আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নৌ প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়নে অপরাজনীতি


চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়নে অপরাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নদী ও পরিবেশ নিয়ে অপরাজনীতির পাঁয়তারা করছে একটি মহল। যথাযথ নিয়ম মেনে উন্নয়ন প্রকল্প করতে গেলেই বাধা আসে। এমনকি এই নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছেন অনেকে। চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়নের গতিকে ‘স্লো’ করতে ও টেনে ধরার জন‍্য পরিবেশের নামে কিছু লোক ঢুকে পড়েছে; সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘রাইটস অব রিভার্স’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দেশের নদ-নদী রক্ষা ও উদ্ধারে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে জানিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করতে সরকারের ‘যথাযথ’ চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মাধ‍্যমে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।‌ আর এই কাজে জনগণকে নদীমুখী মানসিকতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। সভা শেষে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আলোচনার বিষয়ে জানানো হয়।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য যথাযথ চেষ্টা করছি। তবে নদী রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ কিছু বাধা পেয়েছি। সরকার গঠনের পর থেকে বলে আসছি নদীকে আলোচনায় আনতে হবে, নদী নিয়ে জনগণকে ভাবতে হবে।জনগণ এখন নদী নিয়ে ভাবছে।’

নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগানো সাহস নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এর মাধ‍্যমে ৯০ ভাগ নদীর জায়গা দখলমুক্তের কাজ হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় নদীতীর দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছি।

নদ-নদী রক্ষায় নেওয়া উদ্যোগ সম্পর্কে খালিদ মাহমুদ বলেন, “অনেক নদীর তীরে নদীর জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের এ বিষয়ে সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছে।“

নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে তিনি বলেন, “নদীর নাব‍্যতা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ এর জন‍্য অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন; সেগুলো এখনও সচল আছে এবং নাব‍্যতা রক্ষায় কাজ করছে।”

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক ছিলেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর