অনলাইন ডেস্কঃ সীমান্তে গোলাগুলি কমলেও স্থানীয়দের আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি কমলেও আতঙ্ক পুরোপুরি কাটছে না। কারণ এখনও বিভিন্ন ক্ষেত খামারে অবিস্ফোরিত গোলা বারুদ পাওয়া যাচ্ছে। তাই লোকজন সেখানে কাজ করতে যেতে পারছেন না।’
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে যে গোলাগুলি চলছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘এপারের মানুষকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।’
আরও পড়ুন ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে আতঙ্ক, মিয়ানমারের মর্টারশেলে বাংলাদেশিসহ নিহত ২
এছাড়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নিরাপত্তাবাহিনীসহ দেশটির বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ জন সদস্যকেও সহসা ফিরিয়ে দিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে যেখানে মিয়ানমারের লোকজনকে রাখা হয়েছে সেটি এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র এ কথা জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ঘুমধুমের দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানেই এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ‘ঝুঁকি এড়াতে লোকজন যেন কাঁটাতারের বেড়ার কাছে ক্ষেত খামারে না যান বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যে মাইকে প্রচার করা হয়েছে। কারণ সেখানে বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া গোলাগুলি যেহেতু একদম বন্ধ হয়নি, তাই যেকোনো সময় ওপার থেকে গুলি, মর্টারশেল আসতে পারে।’
তমিজ উদ্দিন নামে স্থানীয় এক কৃষক জানান, ‘ক্ষেতে গেলেই সেখানে গোলাবারুদ দেখা যাচ্ছে। মানুষ ভয় পাচ্ছে।’
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪
Leave a Reply