ওসমান হোসাইন, পটিয়াঃ পটিয়ার শান্তির হাট বাজারে ২৬ বছর ধরে হাজি মোহাম্মদ এয়াকুব সওদাগরের ওয়াকফ করা সম্পত্তি অবৈধ প্রক্রিয়ায় দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছিলেন দুবৃত্তরা। সম্প্রতি এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজি এয়াকুব সওদাগর বিশাল ভৃ-সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন। উপজেলার কুসুমপুরাতে তার নিজ বাড়ি। মৃত্যুর আগে মসজিদ, হেফজখানাসহ ফকির, মিসিকিনদের জন্য সহায়ক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য ২০ শতক জায়গা ওয়াকফ করেছিলেন। তিনি তার পিতা আচু মিয়া সওদাগরের নামে এটি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর সেই ওয়াকফ স্টেটটি বেদখল হয়ে যায়। ১৯৯৭ সাল থেকে তার ওয়াকফ করা সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে আসছিলো দুবৃত্তরা। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিলো রেষ্টুরেন্ট, ফলের দোকান, টেলিকমসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (১৬ আগস্ট) উচ্ছেদকালে অবৈধ দখলদার ছিলেন-মোহাম্মদ আব্বাস, মো. ফারুক (মিষ্টি মেলা), মো. শাহাদাত হোসেন সবুজ (ফলের দোকান), মোহাম্মদ কালু শাহা (আমানত টেলিকম সেন্টার), সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম নেচার, মোহাম্মদ আফছার (খাজা হোটেল), নুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ
ইব্রাহিম প্রকাশ মোয়াফসহ আরো অনেকে।
ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধার করে বর্তমানে সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী মোহাম্মদ আলমগীর কে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ভূ সম্পদের বর্তমান মূল্য প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা।
সম্পত্তির আর,এস, খতিয়ান নম্বর ৭৯১, আর এস দাগ ২১৩৮, বি এস সৃজিত খতিয়ান নম্বর ৯৪১.১৩৬০ ও ২১৬১, বি এস দাগ নম্বর ১৬৪৩। ওয়াকফ ই. সি নং ১৭৯৫২।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে হাজি এয়াকুব সওদাগরের দৌহিত্র, সম্পত্তির বর্তমান মোতাওয়াল্লী মোহাম্মদ আলমগীর চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘২৬ বছর ধরে এই মামলা লড়তেছিলাম। দখলদাররা ভূয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে মামলার মাধ্যমে হরানি করছিলো। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ওদেরকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে। এখন ওয়াকফ প্রশাসনের অনুমতি পেলে সেখানে দাদার ইচ্ছা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।’
Leave a Reply