আজ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: বিডিনিউজ২৪

এবিবি ও বাফেদা’র বৈঠকে ডলারের নতুন দাম


দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে রপ্তানিকারকদের ডলার প্রতি ১০০ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। আজ রবিবার (৬ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দর কার্যকর হচ্ছে। ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

রপ্তানি ছাড়াও রেমিট্যান্সের পতন ঠেকাতে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন দুটি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে প্রবাসীরা বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে কোনো ফি দিতে হবে না। আবার সরকারি ছুটির দিনও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো খোলা রাখা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে এবিবি ও বাফেদা এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের তীব্র সংকট চলছে। দিন যত যাচ্ছে, সংকটের মাত্রাও তত গভীর হচ্ছে। এর মধ্যেই অক্টোবরে দেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ৭ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে। এ অবস্থায় ডলারের যোগান বাড়ানোর উপায় খুঁজতে এবিবি ও বাফেদার নেতারা বিকেলে বৈঠকে বসেন। বিকালে শুরু হওয়া এ বৈঠক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শেষ হয়।

এ বিষয়ে বাফেদা চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম বলেন, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের বিদ্যমান সংকট পর্যালোচনা করতে এবিবি ও বাফেদার যৌথ সভা হয়েছে। সভায় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির পাশাপাশি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগেও ডলার সংকট নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আগের সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনার পাশাপাশি আমরা বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আফজাল করিম বলেন, এখন থেকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ব্যাংকগুলো ডলার প্রতি ১০০ টাকা পরিশোধ করবে। প্রবাসীরা যেন ফি ছাড়াই দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারে, আমরা সে উদ্যোগও নিয়েছি। দেশের অনেক ব্যাংকেরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেমিট্যান্স হাউজ আছে। এসব রেমিট্যান্স হাউজগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠালে কোনো ফি নেয়া হবে না। আবার বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছুটির দিনে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো বন্ধ থাকে। প্রবাসীরা ছুটির দিনে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য অবসর সময় পান। এ কারণে আমরা ছুটির দিনগুলোতেও বাংলাদেশী রেমিট্যান্স হাউজগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি, নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।

তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর