দিদারুল আলম (দিদার)
সীমান্তে সন্ত্রাস দমন,দূষ্কৃতিকারী ও মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিহত করণ, ইয়াবা ও আইস পাচার নির্মুল,সীমান্তে গুলি বর্ষণ,মাইন স্থাপন,অসর্তকতা কিংবা ভূল বশত বা ঝড়ের কবলে পড়ে আন্তজার্তিক সীমানা লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারে অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বাংলাদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চুক্তি ১৯৮০ অনুযায়ী দ্রুত ফেরত পাঠানো বিষয়টি ত্বরান্বিত ও সহজিকরণ,উভয় সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে তড়িৎ যোগাযোগের স্থাপনের মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি- মিয়ানমার বর্ডার গার্ড বিজিপির মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দু’দিন ব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) টেকনাফ মেরিন ড্রাইভস্থ হোটেল সেন্ট্রাল রিসোর্ট সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,বিজিবি-বিজিপি’র মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।ভবিষ্যতে নিয়মিত বিরতিতে এ সভা আয়োজন করা হবে। এছাড়া উভয় দেশের সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
এর আগে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দু’দিন ব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন গতকাল বুধবার(২৪মে) সকাল ১০ ঘটিকায় টেকনাফ মেরিন ড্রাইভস্থ হোটেল সেনট্রাল রিসোর্টে আনুষ্টানিকভাবে শুরু হয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল নাফ নদী হয়ে নৌ-পথে শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাটে পৌঁছেন। সেখান থেকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের নম্বর (১) এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেট উইন”র নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সেন্ট্রাল রিসোর্টের সম্মেলনে অংশ নেন। অপরদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে কক্সবাজার রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিবের নেতৃত্বে ১৫ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ছাড়াও টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড বাংলাদে বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল মহি উদ্দীন,বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply