নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সিডিএ বালুর মাঠে গরু-ছাগলের বিশাল অস্থায়ী বাজার গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে বেশ জমজমাট।
বাজারের ইজারাদার হাজী মোঃ আসলাম, হাজী মোঃ আক্কাস সওদাগর ও মোঃ হারুন উর রশিদ পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , আশা করি সিডিএ বালুর মাঠ বিশাল গরুর বাজারের জমায়েত হবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে সকল ধরনের প্রদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। আউটার রিংরোড সংলগ্ন সিডিএ বালুর মাঠ হবার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। প্রতি বছরের মত এবারও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু গরু- ছাগল,মহিষ ও ভেড়া, দুম্বা বাজারে বিক্রির জন্য এনেছে ব্যাপারীরা। বাজারে বিক্রির জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং স্থানীয় থানা পুলিশের সার্বিক সহযোগীতায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাজারে ক্রেতা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত পদ্ধতিতে যাতায়াত ব্যবস্থা ও নিরাপদে ব্যাংক লেনদেন সহ গরু-ছাগল আনা নেওয়া করতে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
জাল নোট শনাক্ত করতে বিশেষ ভাবে মেশিন স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ইজারাদারদের মাধ্যমে জানাযায়, কুষ্টিয়া,কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, বরগুনা- বগুড়া, বাগেরহাট,বরিশাল ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভোলা মাগুরা, মাদারীপুর, শেরপুর শরিয়তপুর, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লা-ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর এবং পাশ্ববর্তী উপজেলার বাঁশখালী, মহেশখালীর, চকোরিয়ায়, স্বন্দীপ, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা ও সাতকানিয়া থেকে স্থানীয় পশু কোরবানির জন্য এসেছে।
স্থানীয় মৌসুমী গরু ছাগল ব্যবসায়ী আজগর বলেন, আমি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১০/১২টি গরু এই হাটে এনেছি। আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
বাজারের দায়িত্বশীল ও ম্যানেজার মোঃ নুরুল আমিন সোহেল বলেন,বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাক যোগে গরু ছাগল আনা হচ্ছে সিডিএ বালুর মাঠে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোরবানি পশুতে হাটের আনাচে-কানাচে পূর্ণ হয়ে ওঠছে। ছোট-বড় মাঝারি সব ধরনের গবাদি পশু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতা এবং গরু বেপারীদের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাজার কমিটি খুবই আন্তরিক। সব ঠিক টাক থাকলে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সকাল পর্যন্ত নিরাপদেও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরু- ছাগল, মহিষ নির্বিঘ্নে বেচা বিক্রি হবে।
Leave a Reply