আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আজ ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস


আজ ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ইতিহাসের এই দিনে পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টা ৪১ মিনিটে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু। এর আগে ৮ জানুয়ারি ভোরে কারামুক্ত হন বঙ্গবন্ধু। সেদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে একটি উড়োজাহাজে তুলে দেয়া হয়। সেখান থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টায় তারা পৌঁছেন লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। সকাল ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দীন আহমদ, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে পরদিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু।

১০ জানুয়ারি সকালে দিল্লিতে যাত্রাবিরতি দেন শেখ মুজিব। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার গোটা মন্ত্রিসভা, স্থানীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ভারতের জনগণও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে সহায়তার জন্য ভারতের নেতা ও জনগণের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান বঙ্গবন্ধু। নিজের এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে তিনি আখ্যায়িত করেছিলেন অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।

বঙ্গবন্ধু ঢাকায় এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষায় ছিল। তাই সেদিন ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানায় লাখো মানুষ। বিকাল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও সংগঠনের সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটির অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সব কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথভাবে পালনের জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সংগঠনের সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর