আজ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নেপাল-বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ সহায়তার পরিবর্তে বাংলাবান্ধা ব্যবহার করতে চায় নেপাল


বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ নিয়ে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। চাহিদার তুলনায় জাতীয় গ্রিডে উৎপাদন কমে যাওয়ায় সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েছে। এ কারণে সংকটের যথার্থ সমাধানের আগে ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। এমন একটি সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সুখবর দিলেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী। আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) গণভবনে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত জানান, নেপাল এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে, তবে তাদের বিদ্যুৎ খাতে একটি মেগা প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।

কিন্তু এসময় ঘনশ্যাম ভান্ডারী বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা বন্দরকে তাদের রপ্তানির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অনুমতি চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, ‘নেপাল বাংলাদেশকে আরও বেশি বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম।

ঘনশ্যাম ভান্ডারী বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা বন্দরকে তাদের রপ্তানির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। কারণ, এই বন্দরটি বুড়িমারী বন্দরের চেয়ে নেপালের কাছাকাছি।

নেপাল বাংলাদেশকে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়। শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রশংসা করে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক নেপালি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য এখানে পড়াশোনা করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে এই দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে নেপালের সহায়তার কথা স্মরণ করেন যা তিনি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতের মধ্যে কানেকটিভিটির ওপর জোর দেন। তিনি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শেখ হাসিনা ‘মুজিববর্ষ’ কর্মসূচিতে নেপালের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশে সফরের কথা স্মরণ করেন যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতি বাড়িয়েছিল। তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর