নিউজ ডেস্ক: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন কানাডার টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চৌ এবং অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদের সদস্য (এমপিপি) ডলি বেগমের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই নগরের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশি কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত বৈঠকে চট্টগ্রাম মেয়র টরন্টোর উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মেয়র অলিভিয়া চৌ এবং তাঁর চিফ অব স্টাফ এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিনিময়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কর্মকর্তাদের জন্য একটি টরন্টোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট পরিদর্শনের উদ্যোগ নেন।
বৈঠকে ‘সিস্টার সিটি’ সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ পায়। এর আওতায় স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, মিউনিসিপ্যাল ইনোভেশন পাইলট এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতাসহ একাধিক কৌশলগত প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় উঠে আসে, চট্টগ্রাম ও টরেন্টা দুই শহরই জলাবদ্ধতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সংগ্রাম করছে। বৈঠকে নদী ও খাল পুনর্জীবন, ওয়াটার-লভিং সিটি কনসেপ্ট এবং প্রাকৃতিক উপায়ে জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার পদ্ধতি নিয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়ে ঐকমত্য হয়।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপিপি ডলি বেগম বৈঠকে বাংলাদেশি নার্সদের কানাডায় পার্সোনাল সাপোর্ট ওয়ার্কার (পিএসডব্লিউ) হিসেবে নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশি নার্সদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিশ্বমানের, শুধু ভাষার বাধা—বিশেষত আইইএলটিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই—তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। তিনি এই বিষয়ে নীতিগত সহায়তা ও প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্টে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
মেয়র ড. শাহাদাত বৈঠককে ‘গঠনমূলক ও বাস্তবভিত্তিক’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, কানাডায় আমার এই সফর শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তব ফল অর্জনের লক্ষ্যে আমার এ সফর। আমি টরন্টোর নেতৃত্বের আন্তরিকতা ও সহযোগিতার মানসিকতায় অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি, বাংলাদেশ ও কানাডার শহরগুলোর মধ্যে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বিনিময়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
Leave a Reply