বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শাস্ত্রীয়সংগীত বা শুদ্ধসংগীত চর্চা অত্যন্ত জরুরি। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শুদ্ধসংগীত মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থরাখে এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন নতূনপ্রজন্ম তৈরি করতে শুদ্ধসংগীত চর্চার বিকল্প নেই।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে সংগীতগুরু লিটন দাশ’র একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে শ্রুতিঅঙ্গন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট ফোরাম। অম্লান নন্দী ও প্রণিতা দেব এর সঞ্চালনায় মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জোলন ও সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের রচনায় এবং লিটন দাশের সংগীতায়জনে কিরোয়ানী রাগে বাংলাখেয়াল “কর্ম সাধনায় হও মনযোগী উদার হৃদয়ে হও জ্ঞানভোগী এবং লিটন দাশের রচনায় মিশ্র কিরোয়ানী রাগে স্বরমালা পরিবেশন করেন শ্রুতিঅঙ্গনের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন (চ.বি) সিনেট সদস্য ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নিলয় দত্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শ্রুতিঅঙ্গনের সভাপতি শিল্পী সুজিত ভট্টাচার্য দোলন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে লায়ন রাজীব সিংহ বলেন, লিটন দাশ একজন শুদ্ধসংগীতের সেবক ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী এবং সফল শিক্ষক তাঁর অসংখ্য ছাত্রছাত্রীরা বেতার, টেলিভিশনে তালিকা ভুক্তহয়ে সংগীত পরিবেশন করছেন।
উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বতানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নরেন সাহা ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিভু সেম। এরপর ছাত্রছাত্রী ও সকল অতিথিবৃন্দ কেক কেটে শিল্পীর জন্মদিন পালন করেন। এরপর সদ্যপ্রয়াত চট্টগ্রামের গুণীযন্ত্রসংগীত তবলা শিল্পী প্রণব ভট্টাচার্যের অকাল প্রয়াণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভাপতিত্বে ছিলেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
২য় পর্বে একক পরিবেশনার গানেরডালি নিয়ে মঞ্চে আসেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ ও শ্রুতিঅঙ্গনের শিক্ষক লিটন দাশ তিনি শুরুতে বিলম্বিত একতাল ও ত্রিতালে রাগ ভীমপলশ্রী পরিবেশন করেন তারপর প্রয়াত আজাদ রহমানের রচনায় বাংলা গজল, “মরতে হবে একা কিন্তু একা বাঁচা যাবে না” মিশ্র পিলু রাগে কাজরী” শ্রাবণ নামল চোখে “কিয়োয়ানী রাগে বাংলাগজল “ ভালোবাসার রুপ সুগন্ধ থাকে মনের মাঝে” এবং মিশ্রপিলু রাগে দাদরা, “ঐ ফুলহার কি হবে বধুঁয়া না যদি থাকে পাশে, গোলাম আলীর মিয়াকীমল্লার রাগে রাগপ্রধান গান, “মেঘ এসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় এরপর জাতীয় কবির জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর স্মরণে নজরুলসংগীত, সুরেও বানীর মালা দিয়ে তুমি আমারে ছুঁয়ে ছিলে, শিবরঞ্জনী রাগে, “আমারে ভুলেছো বলে করিনিতো অভিমান” এবং শাওন আসিলো ফিরে সে ফিরে এলো না পরিবেশন করেন।
তারপর ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর বসন্তমুখারী রাগে রাগপ্রধান বাংলাগান, “প্রেম যেন এক প্রজাপতি চোখে এসে বসে ও শিবরঞ্জনী রাগে, “চলে গেছো সেই যে কবে পরিবেশন করেন। সবশেষে গোলাম আলীর বিখ্যাত গজল “চুপকে চুপকে রাত দিন ও হাঙ্গামা হে কিউ বরপা” পরিবেশন করে দর্শকশ্রোতাদের বিমোহিত করেন। যন্ত্রানুঙ্গে, বেহালায়: শ্যামল চন্দ্র দাশ, কিবোর্ডে: নিখিলেশ বড়ুয়া, অক্টোপ্যাডে: অনুজিৎ বড়ুয়া লিমন, বাশীঁতেঃ প্রানেশ ভট্টাচার্য, তবলায়ঃ অমর্ত্য চক্রবর্তী, বেসগীটারেঃ তন্ময় বড়ুয়া।
Leave a Reply