আজ ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পারমাণবিক অস্ত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়ছে ক্রমশ। হামলা পাল্টা হামলা ও সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়মিত। এই অবস্থায় পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের দেখভাল করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের (এনসিএ) বৈঠক ডেকেছেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

এনসিএ মূলত পাকিস্তানের স্থল, আকাশ ও নৌ বাহিনীর জন্য যৌথ কৌশল প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। তবে এর আরো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো পারমাণবিক অস্ত্রের দেখভাল করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া।

শাহবাজ এমন এক সময়ে এনসিএ’র সভা ডাকলেন, যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ভারতের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ ‍শুরু করেছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার ভোরে শুরু হওয়া এই অভিযানে ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর বলছে, ভারতের বিয়াসে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র, উধমপুর বিমানঘাঁটি, পাঠানকোট বিমানঘাঁটি এবং আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ভারতীয় এসব সামরিক ঘাঁটি থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের অমৃতসর এবং আফগানিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, জি-টপে ভারতের ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং উরিতে সরবরাহ ডিপো ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও, পাকিস্তান দেহরাঙ্গিয়ারিতে একটি ভারতীয় আর্টিলারি অবস্থান এবং নাগরোটায় একটি ব্রহ্মোস স্টোরেজ সাইট লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তান অভিযানের সময় তাদের আল-ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর আগে ভারতীয় হামলায় নিহত পাকিস্তানি শিশুদের সম্মানে ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “পাকিস্তান এই শিশুদের আত্মত্যাগ ভুলে যায়নি এবং কখনও ভুলবে না।”

সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকায় পাকিস্তান বিমান বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের সব ধরনের বেসামরিক বিমান ফ্লাইট বাতিল করেছে।

এদিকে, ভারতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি বিমানবন্দর ১৫ মে সকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

ভারত গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে, যার মধ্যে রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে একটি বিমানঘাঁটিও রয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার দায় পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপিয়ে গত ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। এরপর থেকে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে একের পর এক হামলা-পাল্টা হামলার খবর আসছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর